করোনা কাঁটা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে আলাদা করে রেখেছিল তাঁদের। অবশেষে ভালোবাসা মিলিয়ে দিল সৃজিলাকে। স্বাধীনতা দিবসের দিন কাঁটা তার পেরিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় পত্নী, অভিনেত্রী, সমাজকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সঙ্গে মেয়ে আইরা। আর সুদীর্ঘ বিচ্ছেদের পর স্বাধীনতা দিবসের এই বিশেষ মুহূর্তে তিন মূর্তির পুর্নমিলনের এই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
স্ত্রী মিথিলার ঘরে ফেরার খবর জানিয়ে ফেসবুকে সৃজিত লিখেছেন, ‘১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ঘৃণার কারণে অনেকেই সীমান্ত পার করেছিলেন। ২০২০-র ১৫ অগস্ট ভালোবাসার জন্য দু’জন ফের সীমান্ত পার করলেন'। পেট্রাপোল সীমান্ত পার করে এদিন মিথিলা ও তাঁর মেয়ে আইরা পশ্চিমবঙ্গে এলেন। সৃজিত সেখানে হাজির হয়েছিলেন স্ত্রী-কন্যাকে কলকাতায় নিয়ে আসতে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসবার সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই এদিন বর্ডার পার করলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও তাঁর মেয়ে আইরা তাহরিম খান।
গত বছর ৬ই ডিসেম্বর সই-সাবুদ করে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন সৃজিত-মিথিলা। দেশ আলাদা, ধর্মও। তার উপর মিথিলা ডিভোর্সি, এক মেয়ের মা। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনকেই কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি। তবে ভালোবাসা থাকলে সব কাঁটাতার পার করা হয়, সবকিছুকে জয় করা যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন সৃজিত-মিথিলা। মিথিলার কন্যা আইরাও সৃজিতের নয়ণের মণি। বাবা-মেয়ের বন্ডিং দুর্দান্ত। এদিন পেট্রোপোল সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুলতেও দেখা গেল সৃজিত-মিথিলা-আইরাকে।
চলতি বছর ২৯শে ফেব্রুয়ারি কলকাতার স্বভূমি হেরিটেজ প্লাজায় বসেছিল সৃজিলার গ্র্যান্ড রিসেপশন। ওইদিন শেষ দেখা সৃজিত-মিথিলার। এরপর কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের শ্যুটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা রওনা দেন সৃজিত, অন্যদিকে মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশ ফিরে যান মিথিলা। এরপর করোনার মহামারীর জেরে লকডাউন শুরুর আগেই দেশে ফিরে আসেন সৃজিত। করোনার জেরে কাঁটাতারের দুই প্রান্তে আটকে যান সৃজিত-মিথিলা। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল এখনও বন্ধ। অগত্যা সড়কপথেই শনিবার কলকাতা এলেন মিথিলা। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে আপতত নাকি এখানেই থাকবেন মিথিলা,আইরা। মেয়েকে কলকাতার একটি নামী স্কুলে ভর্তির পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন সৃজিত।