সৃজিত মিথিলার খুনসুটি আর ঝগড়াঝাটির জীবন আড্ডা দিয়ে জমজমাটি করে তুলতে বসন্তের এই সন্ধ্যায় আত্মীয়-পরিজন এবং বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৃজিত-মিথিলা।শনিবার স্বভূমির রাজকুটীরে বসছে সৃজিলা জুটির বিয়ের রিসেপশন। আইনি মতে বিয়ে সারবার প্রায় তিন মাস পর বিয়ের প্রীতিভোজের এই গ্র্যান্ড আয়োজন করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এদিন সৃজিত-মিথিলার রিসেপশনে আমন্ত্রিত গোটা টলিগঞ্জ। আয়োজনে যাতে কোনও খামতি না থাকে তা নিজে খতিয়ে দেখছেন পরিচালক। শুক্রবার কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের শুভ মহরত সেরে সৃজিত পৌঁছেগিয়েছিলেন স্বভূমির রাজকুটীরে। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত সমস্ত আয়োজন নিজে ঘুরে ফিরে দেখলেন সৃজিত।
রিসেপশনের সাজ: রিসেপশনের দিন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের পোশাকে সাজবেন সৃজিত-মিথিলা।মিঁয়া-বিবি দুজনের সাজবেন লাল রঙের পোশাকে। সৃজিত পরবেন আচকান আর ধুতি, পোশাকে থাকবে ঘন সুতোর কাজ। মিথিলার জন্য শর্ববী দত্তের কালেকশনের স্পেশ্যাল ওড়না থাকছে, শাড়িটা নিজেই ভাবনায় পরবেন সৃজিত পত্নী, পদ্মাপারের শাড়ি।
রিসেপশনের আমন্ত্রণপত্র: সৃজিতের বিয়ের ভেন্যু যতটা রাজকীয়, আমন্ত্রণপত্র ততটাই ইউনিক। সৃজিতের সিনেমার নানান অনুষঙ্গ নিয়ে সেজেছে সেই নিমন্ত্রণপত্র।।ছবির নাম থেকে গানের লাইন-উল্লেখ রয়েছে সবকিছুর। পরিচালক জানিয়ে দিয়েছেন, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও-এর দিন শেষ।
দেখুন সেই কার্ড-
গত বছর ডিসেম্বরের ৬ তারিখ সৃজিতের দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাটে কাগজে-কলমে বিয়েটা সেরেছিলেন 'সৃজিলা' জুটি। সম্প্রতি মিথিলার সঙ্গে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন সৃজিত। সেখানে মিথিলার বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে বেশখানিকটা সময় কাটিয়ে এসেছেন 'দুলহাভাই'।
সম্প্রতি প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সৃজিত জানিয়েছেন, ফেসবুকের মাধ্যমেই তাঁদের প্রথম আলাপ। গত বছর জানুয়ারিতে মিথিলার সঙ্গে প্রথমবার দেখা করতে ঢাকায় গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিনই নাকি মিথিলার বন্ধুকে বলে এসেছিলেন ডিসেম্বরে তারিখ ফাঁকা রাখতে কারণ ডিসেম্বরেই নাকি মিথিলাকে বিয়ে করছেন তিনি! যেমনকথা তেমন কাজ। একেই বোধহয় বলে 'মধুরেণ সমাপয়েৎ'।