একটা একটা করে দিন কেটে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। অভয়া কাণ্ডের দোষীরা অধরাই থেকে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের উপর চেপেছে প্রমাণ লোপাটের দোষ। একটার পর একটা ঘটনা প্রমাণ করেছেন, পুলিশ থেকে প্রশাসন সকলেই চালিয়ে গিয়েছিলেন আসল দোষীকে লোকাতে। এমনকী মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্ট ভর্ৎসনা করেছে এই সরকারকে।
অভয়ার হয়ে বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন তারকা থেকে সাধারণ মানুষ। গানে-পথ নাটিকার মাধ্যমে এর আগে প্রতিবাদ হয়েছে। এবার বিচার চাইতে ব্যবহার হল রং আর তুলি! আসলে প্রতিবাদের ভাষা শুধু যে স্লোগান দিয়ে হয় তা নয়, রং তুলি দিয়েও জোরালো করা যায় কণ্ঠস্বর। যা করে দেখিয়েছে বাংলার সুশীল সমাজ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে কলেজস্ট্রিট সংলগ্ন রাস্তায় প্রতিবাদের ছবি ফুটে উঠল। যাতে খোদ হাত মেলালেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। অনেকেই এই আঁকায় হাত মিলিয়েছিলেন। সাদা টি শার্ট আর বারমুডায় দেখা গেল সৃজিতকেও।
আরও পড়ুন: আরজি কর নির্যাতিতাকে নিয়ে মমতার বিরোধে শহরে বিবেক অগ্নিহোত্রী, কোথা থেকে কখন ছাড়বে মিছিল
৮ থেকে ৮০, সবাই পথে নেমেছেন এই নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে। গত ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতলে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল এক চিকিৎসককে। সেই ঘটনায় গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা। এর প্রতিবাদে এরপর ১৪ অগস্টে রাত দখলের ডাক দেয় মহিলারা। যাতে অবশ্য নিজ ইচ্ছায় সামিল হয়েছিল হাজার-হাজার ছেলেও। তারপর থেকে গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্দোলন-প্রতিবাদ।
আরও পড়ুন: ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা! সামনেই ডেলিভারি রণবীরের বউয়ের, বেবিবাম্প কত বড় হল দীপিকার
যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৪ তারিখ হওয়া রাত দখলের এই কর্মসূচি রাম-বাম (বিজেপি-বামফ্রন্ট)-এর চক্রান্ত। এই আন্দোলন আদতে বিরোধীদের মদতে সরকারের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে মমতাকে সমর্থন তসলিমা নাসরিনের? লেখিকার সাফ কথা, ‘তিনি আমার বড় অর্থনৈতিক…’
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছিল। এরপর যখন রাস্তায় নামে দুই দলের সদস্যরা, চলে লাঠিপেটা। এই নিয়ে মঙ্গলবার ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
মমতা নিজেও নেমেছেন রাস্তায়। তৃণমূল নেতারাও 'বিচার চাইছেন'। তবে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ নিয়ে তাঁদের 'আপত্তি' যেন প্রতি ক্ষেত্রেই প্রতিফলিত হচ্ছে।