সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের জীবনের তাঁর মায়ের অবদান কী আর কতটা সেই প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুললেন টলিউডের 'ফার্স্ট বয়'। জানালেন সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই ছবিটি বানাতে কেন তাঁর এতটা সময় লেগে গেল সেই কথাও।
আরও পড়ুন: দগ্ধ জিভে আওড়াচ্ছেন ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা, হাঁটছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে! হঠাৎ কী হল মিঠুনের?
কী জানালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়?
এদিন সহজ কথা পডকাস্ট শোতে সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁর জীবনে তাঁর মায়ের অবদান বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, '১৯৯২ সালে বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হয়। সেই ১৯ ৯২ থেকে সিঙ্গল মাদার হিসেবে আমাকে বড় করে মা। এই যে সব কিছু, সব সেন্টিমেন্ট, প্লুরালিটি, বিবিধ, কোনও কিছুকে বাদ না দেওয়া, সব কিছুকে গ্রহণ করা, সব থেকে বড় কথা মনের শান্তি বজায় রেখে কাজ করা, নিয়ম বা এথিক্স মেনে কাজ করা যে স্বত্ব না নিয়ে কাজ করব না বা কিছু এই সমস্ত নীতিবোধগুলো মায়ের জন্যই। মা এবং আমার স্কুল দোলনা ডে স্কুল।'
তিনি এদিন আরও জানান, 'আমি যদি কখনও জানতে পারি যে আমার ছবির সঙ্গে কোথাও কারও কিছু মিল আছে আমি সেটা স্বীকার করি। সেটার জন্যই সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই বানাতে আমার ১০ বছর লেগে গেল। মায়ের রোল এখানে, যে উনি আমার এই মূল্যবোধ, নীতিবোধ গুলো দিয়েছেন।'
শুধু নীতি বা মূল্যবোধ নয়। জীবন যাপন, দর্শন সবটাই তিনি শিখেছেন তাঁর মায়ের থেকে। এই বিষয়ে সৃজিত বলেন, 'আর এছাড়া সাধারণ ভাবে বেঁচে বৃহৎ ভাবে ভাবো এই ভাবনাকে আত্মস্থ করার পিছনেও মায়ের অনেক বড় ভূমিকা আছে। মায়ের সঙ্গে আপাতত সাপটা একটু মতবিরোধ চলছে। নইলে আমাদের ভাবনা চিন্তা মোটামুটি একই রকমের।'
আরও পড়ুন: 'মূর্ছনা অভ্যাস করি, রুট নোট এক রেখে...' অরিজিৎ বলতেই রহমান কোন গানের ইতিহাস প্রকাশ্যে আনলেন?
প্রসঙ্গত সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। এখনও পর্যন্ত বক্স অফিসে দারুণ সাড়া পাচ্ছে এই ছবি। এক রুকা হুয়া ফ্যায়সলা অবলম্বনে বানানো ছবিটিতে আছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনি চট্টোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অনির্বাণ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, অর্জুন চক্রবর্তী, ঋত্বিক চক্রবর্তী, প্রমুখ।