কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ৫০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে। পড়শি দেশের এই কঠিন সময় চুপ থাকতে পারেনি এপার বাংলা। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা। প্রতিবাদ করে কী লিখলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়রা?
কী লিখলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়?
এদিন সৃজিত মুখোপাধ্যায় বর্তমানের একাধিক ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বাংলাদেশের ছাত্রদের সমর্থনে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'বাহবা, সাবাশ, বড়দের দল, এই তো চাই, ছোটরা মরবে, আসুন আমরা পুলিস পাঠাই!' একই সঙ্গে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লেখেন বাংলাদেশি ছাত্রদের বাঁচাও, পুলিশি অত্যাচার বন্ধ হোক।
কী লিখলেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়?
রাহুল এদিন নিজে কোনও পোস্ট না করলেও বাংলাদেশের এই আন্দোলন কেন্দ্রিক একাধিক পোস্ট শেয়ার করেছেন। কোথাও লেখা, 'দেশের জানাজা।' কোথাও আবার আন্দোলনের খণ্ডচিত্র পোস্টে উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ঋদ্ধি সেন, কবীর সুমন, অনিন্দিতা রায় চৌধুরী, প্রমুখ। ঋদ্ধি লেখেন, 'কে বা কারা আমার পথে বিস্তর কাঁটা বিছিয়ে আমাকে রক্তাক্ত দেখে বিকট ভঙ্গিতে নাচতে থাকে, ছড়া কাটে, থুতু ছিটোয় আমার দিকে। নিশ্চুপ আমি হেঁটে যেতে থাকি উঁচিয়ে মাথা অন্য কোনওখানে। অন্ধকারের কেল্লা নিশ্চিত একদিন সুশীল, সুগঠিত, বিশাল মিছিলের স্লোগানে হবে বিলীন।- শামসুর রাহমান।' অনিন্দ্য লেখেন, ''লড় - না লড়তে পারলে বলো। না বলতে পারলে লেখো। না লিখতে পারলে সঙ্গ দাও। না সঙ্গ দিতে পারলে যারা এগুলো করছে তাদের মনোবল বাড়াও। যদি তাও না পারো, যে পারছে, তার মনোবল কমিও না । কারণ, সে তোমার ভাগের লড়াই লড়ছে।'
আরও পড়ুন: চিত্রার গান শ্রেয়ার গলায়, সঙ্গে রহমান! মিস করে থাকলে অবশ্যই দেখুন
আরও পড়ুন: 'দর্শকরাই খালি উপভোগ করে, আদতে...' ঘনিষ্ট দৃশ্যের শ্যুটিং নিয়ে কী জানালেন গুলশান দেভাইয়া?
বাংলাদেশের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কবীর সুমন লেখেন, 'এ হেন আমি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তাও তো ঠিকমতো জানি না। তাও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাঙলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন। আর কী বলি। আমি তো সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়। পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সকলকে শান্তিরক্ষার জন্য আহবান করতাম। হানাহানি বন্ধ হোক। বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ। বাঁচুন বাংলাদেশের সকলে।'