অটোগ্রাফ দিয়ে শুরু। সৃজিত মুখোপাধ্যায় তারপর একের পর এক বিভিন্ন ধরনের ছবি উপহার দিয়ে গেছেন। ক্রমে ক্রমেই হয়ে উঠেছেন টলিউডের ফার্স্ট বয়। তাঁর পরিচালিত সিনেমা মানেই যেন অন্য কিছু পাওয়ার আশা। তাঁর এক্সপেরিমেন্টাল পরিচালনার ধরন থেকে কাজ সবের জন্যই তিনি নাকি বাংলার নোলান হয়ে উঠেছেন। এবার এই বিষয়ে কী জানালেন খোদ সৃজিত মুখোপাধ্যায়?
আরও পড়ুন: শাহরুখের ছেলের হাসিতে কুপোকাত নেটপাড়া! মুগ্ধ আরিয়ানের অভিনয়ে, বলছে, ‘পরিচালনা নয়, সিনেমায়…’
কী ঘটেছে?
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই। এই ছবিটি তিনি এক রুকা হুয়া ফ্যায়সলা অবলম্বনে বানিয়েছেন। আসল ছবিটি একটি বদ্ধ ঘরে আবর্তিত থাকলেও, এটা নিয়ে একাধিক সিনেমা, নাটক হলেও তিনি গল্পটাকে নিজের মতো অ্যাডাপ্ট করে বদ্ধ ঘরের বাইরে এনেছেন। শুধু তাই নয়, শ্যুটিংয়ের আগে থিয়েটারের মতো সিনেমার পুরোদস্তুর রিহার্সাল করিয়েছেন। এছাড়াও শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রেও ছিল নানা এক্সপেরিমেন্ট। ফলে এটার পর এদিন তিন ইয়ারি কথা পডকাস্ট শোতে যখন জানতে চাওয়া হয় তাহলে কি সত্যি এতদিন দর্শকদের বলে আসা কথা বাংলার ক্রিস্টোফার নোলান হয়ে উঠলেন তখন হাসিমুখেই সেটার জবাব দেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, '২০১০ থেকে ক্রিস্টোফার বাবু যা হেঁচকি তুলছেন। মানে হেঁচকি তোলা ওঁর থামছেই না। আমার সঙ্গে যদি ওঁর সঙ্গে কোনও ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, টক বা কিছুতে দেখা হয় আগে জিজ্ঞেস করব যে আপনি ঠিক আছেন তো? আপনাকে একটু জল দেব? হেঁচকিগুলোর কারণ বাঙালিরা।'
আরও পড়ুন: ‘যাঁদের একার ছবি চলেনি, তাঁদেরকে নিয়ে প্রযোজকরা…’, বায়নাক্কা করা অনির্বানকে জোর বাউন্সার সৃজিতের
তিনি এদিন জানান যে কেন ছবিতে কাজ করার কথা থাকলেও অনির্বাণ ভট্টাচার্য, শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বা সত্যম ভট্টাচার্য করেননি। সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানান শুভাশিস মুখোপাধ্যায় যে পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন সেটা দেওয়া সম্ভব হয়নি বলেই তিনি এই ছবি করেননি। অন্যদিকে সত্যম ভট্টাচার্যর সঙ্গে সময় না মেলায় তাঁকেও সরে দাঁড়াতে হয় ছবিটি থেকে। অনির্বাণ ভট্টাচার্য না থাকার কারণ জানিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'ওর একটা লিড করব গোছের ভাবনা, শুধু আমি বা সোলো আমি ছাড়া কাজ করব না এখন এরম একটা আমার সঙ্গে বায়নাক্কা ধরেছিল। কিন্তু সমস্যা সেটাই। ও ভীষণ ভালো অভিনেতা। আমি ওকে যে কোনও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রেই ব্যবহার করতে চাই। এবার বাকিরা কে কী আছে, ছবিটা কার একার, কার একার নয় এই ভাবনা চিন্তার সঙ্গে আমি মেলাতে পারি না নিজেকে। বিশ্বাস করি না। সোলো ছবি দেবে কি দেবে না কোনও অভিনেতাকে এটা তো একজন প্রযোজকের হাতে থাকে। যে যে অভিনেতাদের সোলো হিট আছে তাদের সোলো ছবি দিয়ে প্রযোজকরা নিরাপদ মনে করেন। যাদের নেই তাঁদের করেন না। তো এটা সবসময় পরিচালকের হাতে থাকে না।'