গত সপ্তাহেই রিসেপশন পর্ব সেরেছেন সৃজিত-মিথিলা। একসঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে দুজনেই ব্যস্ত নিজেদের কাজের জগতে। রিসেপশনের পরেরদিন ( ১ মার্চ ) সৃজিত উড়ে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, তাঁর পরবর্তী ছবি কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের শ্যুটিং। অন্যদিকে ঢাকায় ফিরে গেছেন মিথিলা। তিনি এখন ব্যস্ত নিজের আসন্ন ওয়েব সিরিজ একাত্তরের প্রমোশনে।
এর মাঝেই শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে সূদূর আফ্রিকা থেকেই একটি চাঞ্চল্যকর পোস্ট করে বসলেন মিস্টার মুখার্জি। তিনি বলে দিলেন, 'সন্তান নিয়ে সৃজিতের স্ত্রীর কোনও পরিকল্পনা নেই'। হঠাত্ কী ব্যাপার? আসলে একাত্তরের প্রমোশনে মিথিলা ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী তাহসান কন্যা আইরার ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয় সে কার সঙ্গে থাকবে? মিথিলা সাফ জানিয়েছেন বাবার থেকে তিনি মেয়েকে আলাদা করতে চান না। উভয়ের কাছেই থাকবে সে। মিথিলার কথায়, আইরা এখন ছোট। আমি চাইবো ওর মতো করেই ও বড় হবে। বড় হয়ে যেটা হতে চায় সেটাই হবে। মা হিসেবে আমার পক্ষ থেকে শতভাগ সমর্থন থাকবে।’
বাংলাদেশের অনেক সংবাদ মাধ্যমেই এই খবরের শিরোনাম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ' সন্তান নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন সৃজিতের স্ত্রী'। আর এই নিয়েই আপত্তি রয়েছে পরিচালকের। কেন সৃজিতের স্ত্রী? কেন মিসেস সৃজিত? মিথিলা নয় কেন? নিজের পরিচয়েই সম্পূর্ন তাঁর স্ত্রী। কারণ নিজের কৃতিত্বে জীবনে অনেক কিছু অর্জন করেছেন মিথিলা। বরং তুলনায় তাঁর স্ত্রী মিথিলা কিছুক্ষেত্রে এগিয়েই রয়েছেন।
ফেসবুকে ঠিক কী লিখেছেন সৃজিত?
'সন্তান নিয়ে সৃজিতের স্ত্রীর কোনও পরিকল্পনা নেই। ঠিক যেমনটা অভিজিত্ বিনায়ক ব্যানার্জির স্ত্রী নোবেলটা পাননি। রাফিয়াত রাশিদ এখন ভয়ঙ্কর গুণী মহিলা, আমার থেকে অনেক বেশি কিছু জীবনে সে অর্জন করেছে। তাঁর CV বোঝার মতো শিক্ষা না থাকলে বা জানার মতো ধৈর্য না থাকলে,দয়া করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে এইভাবে ছড়িয়ে লাট করবেন না।'
মিথিলা একধারে মডেল, অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা, গায়িকা, লেখক এবং সমাজকর্মী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন মিথিলা। গত বছর ব্রাক ইউনিভার্সিটি থেকে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন, তাও গোল্ড মেডেলের সঙ্গে। এশিয়া এবং আফ্রিকার বহু দেশে শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে গত ১১ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন মিথিলা। বাংলাদেশের নারী ও শিশু অধিকার সুরক্ষা আন্দোলনের অন্যতম মুখ তিনি।