করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় করোনা টিকার শরনার্থী হচ্ছেন অনেকেই। বুধবার করোনা টিকা নিয়ে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়লেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এদিন বিকালে নিজের করোনা ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর সেই ছবি ফেসবুকের দেওয়ালে পোস্ট করেন সৃজিত। এরপরই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হন সদ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া চিত্রনাট্যকার। বয়স কত? আপনি কীভাবে করোনা টিকা নিলেন? এমনই প্রশ্ন করেন নেটিজেনরা।
আসলে করোনা টিকা নেওয়ার নির্দিষ্ট বয়স ও নিয়ম বেঁধে দিয়েছে সরকার। ৬০ বছরের উর্ধ্বে সকলকে, এবং ৪৫ বছরের উর্ধ্বে ২০টি কোমরবিডিটি রয়েছে যাঁদের এতদিন তাঁদেরই টিকা দেওয়া হচ্ছিল। গতকালই নিয়ম বদলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের উর্ধ্বের সকলকেই করোনা টিকা দেওয়া হবে। তবে সৃজিত মুখোপাধ্যায় এখনও ৪৫-এর গন্ডি পার করেননি।
সৃজিত নিজের করোনা টিকা নেওয়ার পোস্টটি মুছে ফেলেন। পরে একটি পোস্টে জানান, ‘আমি আমার বন্ধু ইন্দ্রনীল রায়, যে ভ্যাক্সিন নিয়েছে তাঁর থেকে জানলাম যে টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার বয়স সীমা ৪০-এ নামিয়ে আনা হয়েছে যদি হাই কোমরবিডিটি থাকে ( আমার উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে)। এরপর আমি প্রথম ডোজ নিয়েছি, কিন্তু এখন জানতে পারছি যে না বয়সসীমা এখনও ৪৫-ই রয়েছে। আমার বয়স ৪৪, এবং ওই খবরটা ভুয়ো ছিল। এবার আমি তো আর নিজেকে আন-ভ্যাক্সিনেট করতে পারব না, তবে একটা কথা দিচ্ছি যে আমি দ্বিতীয় ডোজটি নেবো না’।
সৃজিতের এই পোস্টে অনেকে আবার দাবি করেন, ১৯৭৮ সালের ১ লা জানুয়ারির পর জন্মেছেন এমন যে কেউই করোনা টিকা নিতে পারবেন। এই কথা শুনে কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সৃজিত। যদিও সরকারি নিয়ম বলছে, ১৯৭৬-এর ১লা জানুয়ারির পর জন্মেছেন এমন ব্যক্তিরাই একমাত্র বর্তমানে কোমরবিডিটি থাকলে টিকা নিতে পারবেন। অন্যদিকে কেউ কেউ পরিচালককে আশ্বস্ত করে বলেন, শীঘ্রই সকলের জন্য করোনা টিকা চালু হয়ে যাবে চিন্তার কোনও কারণ নেই।
টলিউডে টিকা নেওয়ার তালিকায় তৃতীয় নাম সৃজিতের, এর আগে ৪৬ বছর বয়সী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ৪২ বছর বয়সী অভিনেতা জিতও কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।