চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তৈরি হওয়া পদাতিক। মৃণাল সেনের এই বায়োপিক দর্শকদের থেকে তুমুল প্রশংসিত হলেও বক্স অফিসে সেই অর্থে চলেনি। তবুও এই ছবিটিকে নিয়ে গর্বিত সৃজিত! ব্যাখ্যা করলেন কারণ।
আরও পড়ুন: নেপথ্যে চণ্ডীপাঠ, এদিকে শহরের বুকে পরপর ঘটছে মহিলাদের খুন! টোটা-শান্তনুরা কী পারবেন খুনিকে ধরতে?
আরও পড়ুন: মসজিদের মাইকে মহিষাসুরমর্দিনী বাজানোর দাবি বিজেপির তরুণজ্যোতির! লিখলেন, 'দুর্গাপুজোর মণ্ডপে যদি...'
কী লিখলেন সৃজিত?
সৃজিত মুখোপাধ্যায় এদিন তাঁর পদাতিক ছবিটির একটি দৃশ্যের ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লেখেন পদাতিক বক্স অফিসে সেই অর্থে না চললেও ছবিটি কেন তাঁর খুব কাছের, কেন সেটিকে নিয়ে তিনি গর্বিত। এদিন সৃজিত লেখেন, ' পদাতিকের আজ ৫০ দিন পূর্ণ হল। এটা আমার ২২ তম বাংলা ছবি। অনেকেই যাঁরা আমার এই ছবিটি দেখেছেন তাঁরা জানিয়েছেন এটা আমার করা সেরা ছবি। আমি এর আগে বেশ কিছু ছবি করেছি যেগুলো দর্শকদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছে। কিন্তু এই ছবিটি যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে তেমনই আনন্দ দিয়েছে। এটি আমার করা এখনও পর্যন্ত যে ৩ টে ছবি বক্স অফিসে ডুবেছে সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হল, জাতিস্মর, নির্বাক এবং শাহজাহান রিজেন্সি। কিন্তু ওই তিনটের ব্যর্থতার মতো কষ্ট হয়নি। পদাতিকের ব্যর্থতা আমায় প্রচণ্ড গর্বিত করেছে।'
এরপর পরিচালক কারণ ব্যাখ্যা করে লেখেন, 'মৃণাল সেনের এল ডোরাডো ২০২৪ সালে তাঁকে ঠিক সেভাবেই উদযাপন করেছে যেভাবে তাঁকে পাওয়া যেত, রাস্তায়, প্রতিবাদে।'
প্রসঙ্গত পদাতিক যখন মুক্তি পায় তার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই কলকাতার বুকে আরজি কর কাণ্ড ঘটে যায়। উত্তাল হয়ে ওঠে নাগরিকরা। পথে প্রতিবাদের ঢল নামে। বিচারের দাবিতে রাত দখল, জমায়েত, মিটিং, মিছিল চলতে থাকে। আর সেটার খানিকটা প্রভাব অবশ্যই বিনোদন জগতের উপর পড়ে। আসলে তখন কেউই সিনেমা উপভোগ করার অবস্থায় ছিলেন না। আর এই লেখার মাধ্যমে এদিন সৃজিত মুখোপাধ্যায় সেই কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'সময় থমকে গেছে...' ফের মেয়ের সঙ্গে দেখা শামির, আদরের 'বেবো'র জন্য লিখলেন কী?
পদাতিক প্রসঙ্গে
পদাতিক ছবিটিতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কোরক সামন্ত (অল্প বয়সের) এবং চঞ্চল চৌধুরী (প্রাপ্ত বয়স্কের)। মৃণাল সেনের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গিয়েছে মনামী ঘোষকে। সত্যজিৎ রায় হয়ে ধরা দিয়েছিলেন জিতু কমল।