৩০ বছর পর ভূস্বর্গে ছবি ফিরল। শাহরুখ খানের পাঠান ছবির হাত ধরেই সেটা হল। গত মাসের ২৫ তারিখ বড়পর্দায় মুক্তি পায় ছবিটি। মাঝে প্রায় ২০ দিন কাটতে চলল। তবুও এখনও এই ছবি নিয়ে এতটুকু উন্মাদনা কমার নাম নেই কাশ্মীরে। শ্রীনগরের লোন মাল্টিপ্লেক্সে প্রতি শো হাউজফুল যাচ্ছে এই ছবির।
ইতিমধ্যেই শ্রীনগরের হাজারের বেশি মানুষ প্রেক্ষাগৃহে এসে এই ছবিটি দেখেছেন। কিন্তু তবুও যেন হলের সামনে থেকে ভিড় কমার বিন্দুমাত্র নাম গন্ধ নেই। বর্তমানে শ্রীনগরের এই মাল্টিপ্লেক্সে ৬টা শো চলছে পাঠান ছবিটির। আর প্রতিদিন এই ছয়টা শো হাউজফুল যাচ্ছে। আসলে এত বছর পর ভূস্বর্গের বাসিন্দারা প্রেক্ষাগৃহে যেতে পারছেন সেখানে বসে ছবি দেখতে পারছেন বলে দারুণ উচ্ছ্বসিত।
দর্শকদের থেকে দারুণ ভালোবাসা পাচ্ছে ছবিটি। এই মাল্টিপ্লেক্সের তরফে কাশ্মীরের বাসিন্দাদেরকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ছবিটিকে এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য। পাঠান এবং শাহরুখকে অভাবনীয় ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলেছে কাশ্মীর।
আইনক্স থিয়েটারের তরফে টুইট করে এই প্রসঙ্গে লেখা হয়, 'আমরা কিং খানের কাছে কৃতজ্ঞ যে ফের কোনও ছবির হাত ধরে একটার পর একটা শো কাশ্মীরে হাউজফুল যাচ্ছে। ধন্যবাদ শাহরুখ খান।'
শ্রীনগর আইনক্সের এক কর্মী বলেন, 'ছবিটি ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে, আমরা এতটা ভালো সাড়া পাব ভাবিনি। ৩২ বছর পর কাশ্মীরে সিনেমা হল খুলল তাও শাহরুখের ছবির জন্য। বহু মানুষ আসছেন এই ছবিটিকে হলে দেখার জন্য। এখনও প্রযন্ত প্রায় ১১,০০০ মানুষ দেখেছেন এটি। তা সত্বেও ছবিটি হাউজফুল যাচ্ছে। তবে খালি শ্রীনগর নয়, কাশ্মীরের অন্যান্য জায়গাতেও ছবিটা প্রায় এক।'
শ্রীনগরের শাহরুখ ভক্তরা নন কেবল, দূরদূরান্ত থেকে এই রাজ্যের মানুষরা এখানে আসছেন এই ছবিটি দেখতে। ছবিটির টানে তো বটেই, একই সঙ্গে অনেকের কাছে এটা জীবনে প্রথমবার যে হলে গিয়ে তাঁরা ছবি দেখছেন। ১৯৯০ সালের আগে পর্যন্ত এখানে ১২টির বেশি হল ছিল। কিন্তু তারপর সেগুলো সব বন্ধ হয়ে যায়। ত্রিশ বছর পর পাঠান ছবির হাত ধরে কাশ্মীরে ছবি ফিরে এল।
মাইনাস ডিগ্রিতে তাপমাত্রা, বরফপাত হচ্ছে তা সত্বেও সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে মানুষ হলে আসছেন, প্রতিটি শো হাউজফুল যাচ্ছে। এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, 'আমি কাশ্মীরের বাইরে গিয়ে সিনেমা হলে সিনেমা দেখেছেন। কিন্তু নিজের এলাকায় বসে বন্ধুর সঙ্গে এভাবে ছবি দেখতে পেরে দারুণ খুশি।'
দু সপ্তাহ পরও এখনও এই ছবি কাশ্মীরের বক্স অফিসে রাজ করছে বলা যায়। আর যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে না যে সহজে এই উন্মাদনা, বা ভিড় কমবে।