তাঁর জন্য শাহরুখ খান গেয়েছিলেন, ‘আনা মেরি প্য়ায়ার না তুম ঝুটা সমঝো জানা…’। তারপর বলিউড থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যান এই সুন্দরী। কথা হচ্ছে শাহরুখের ‘কভি হাঁ কভি না’ নায়িকা সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তির। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় নব্বইয়ের দশকের এই নায়িকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন সুচিত্রা।
সম্প্রতি জার্মানির বার্লিন শহরে অনুষ্ঠিত এক ন্যুড পার্টিতে পৌঁছেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর হয়নি তাঁর কাছে। ন্যুড ক্লাব, ন্যুড পার্টি, ন্যুড বিচ, এইসব পশ্চিমী সংস্কৃতিতে আম-ব্যাপার। কিন্তু রক্ষণশীল ভারতীয়রা আজও এইসব বিষয়গুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেননি। চারিদিকে নগ্ন মানুষদের ভিড় থেকে কী অবস্থা হয়েছিল সুচিত্রার?
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'বার্লিনের একটি বডি পজিটিভিটি বা নেকেড পার্টিতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে উপলব্ধি করলাম, এতটাও খোলামেলা হওয়া ভালো না যে তোমার মস্তিষ্ক সেটা গ্রহণ করতে পারবে না। আমি ভারতীয় হয়েই থাকতে চাই। এবার আমাকে স্নান করতে হবে এবং গায়েত্রী মন্ত্র জপ করতে হবে।' ঝড়ের গতিতে ভাইরাল সুচিত্রার সেই পোস্ট।
একজন লেখেন, ‘আমি কিছুদিন আগেই একটা ন্যুড বিচে গিয়েছিলাম, আমার তো বেশ ভালো লেগেছে’। আরেকজন লেখেন, ‘আমি বুঝেছি আপনি কোন ক্লাবে গিয়েছিলেন। আমার এক ভাইও সেখানে গিয়েছিল, তিন দিন ট্রমার মধ্যে ছিল’। অপর এক নেটিজেন কটাক্ষ করে লেখেন, 'কীভাবে গায়েত্রী মন্ত্র জপ করলে সব পাপ ধুয়ে যায় বুঝতে পারি না। যতক্ষণ না আমরা মূল বিষয়টিকে উপলব্ধি করতে পারি যে পুরুষালি শক্তি এবং নারী শক্তি এই মহাবিশ্বের অংশ।'
যদিও ন্যুডিজম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছাড়া আন্দোলন করে চলেছেন, যাঁরা জামাকাপড় পরে থাকার ফরমান মানেন না। তাঁরা সুচিত্রার এই পোস্ট দেখে বাঁকা মন্তব্য করেছেন।
১৯৯৭ সালে পরিচালক শেখর কাপুরকে বিয়ে করে গ্ল্যামার জগতকে বিদায় জানিয়েছিলেন সুচিত্রা। তবে টেকেনি সেই বিয়ে। ২০০৭ সালে ডিভোর্স চূড়ান্ত হয় দুজনের। ২০০৫ সালে ‘মাই ওয়াইফস মার্ডার’ দিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর পর সিনেমার পর্দায় ফিরেছিলেন সুচিত্রা। 'আগ', 'কর্ম অর হোলি', 'রণ', 'মিত্তাল বনাম মিত্তাল', ‘রোমিও আকবর ওয়াল্টার’-এর মতো ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। হালে নেটফ্লিক্সের ‘ওড কপল’ সিরিজে দেখা মিলেছে সুচিত্রার।