সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। বিদ্যুত গতিতে কাজ করছে আরিয়ানের লিগ্যাল টিম। আজ আরিয়ান খানের পাঁচ পাতার বেল অর্ডার জারি করেছে বম্বে হাই কোর্ট। জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরেও নির্দিষ্ট কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই কোনও অভিযুক্ত জেল থেকে ছাড়া পায়। বাদশা পুত্রের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। এদিন আরিয়ানের জামিনের শর্তে বম্বে হাই কোর্ট স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে ১ লক্ষ টাকার বেল বন্ডের পাশাপাশি কোনও ব্যক্তিকে অভিযুক্তের দায়িত্ব নিতে হবে।
সেইমতো এদিন এনডিপিএস আদালতে হাজির হন জুহি চাওলা। সঙ্গে যান আরিয়ানের কৌঁসুলি সতীশ মানেশিন্ডে। বাকি আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করবার জন্য নিম্ন আদালতের কাছে দরবার করেন আইনজীবী। বম্বে হাই কোর্টের তরফে সিউরিটি সার্টিফিকেট এসে পৌঁছায়নি নিম্ন আদালতে। তবে আইনজীবীর আবদার, ‘ওঁনাকে দেখেই আপনার সিউরিটি দেওয়া উচিত’। কিন্তু বিচারক বৈভব পাটিল স্পষ্ট জানান, কোনওভাবেই সেটা সম্ভব নয়। বিস্তারিত অর্ডারের কপি হাতে চান তিনি। পালটা জবাবে মানেশিন্ডে বলেন, ‘আমরা কেবলমাত্র অপারেটিভ পার্টের কপি হাতে পেয়েছি। সেটি অনলাইনেও দেখা যাচ্ছে’।
মানেশিন্ডে বলেন, সিউরিটি নিজে আদালতে হাজির হয়েছেন। এরপর সাক্ষী হিসাবে কাঠগড়ায় উঠেন জুহি। বিচারক তাঁকে নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। জুহি জানান, ‘ছোটবেলা থেকে আরিয়ানকে আমি চিনি, ওঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কও রয়েছে’। আরিয়ানের হয়ে এক লক্ষ টাকার জামিনের বন্ডে সই করেন জুহি চাওয়ালা। আদালত জুহির নথিপত্রে শিলমোহর দেওয়ার পর এরপর বাকি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দিষ্ট দফতরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন জুহি।
এরপর আরিয়ানের জামিনের সিউরিটি হিসাবে জুহির আবেদন গ্রহণ করে আদালত। উল্লেখ্য, আরিয়ানের জামিনের বিস্তারিত অর্ডার এদিন সাড়ে পাঁচটার মধ্যে আর্থার রোড জেলে পৌঁছালে তবে আজ রেহাই সম্ভবপর হবে আরিয়ানের। সূর্যাস্তের পর কোনও অভিযুক্তকে জেল থেকে ছাড়ার নিয়ম নেই। তাই বম্বে হাই কোর্টের জামিনের সব শর্ত দ্রুত পূরণ করছে আরিয়ানের আইনজীবীরা।