'বাহুবলী'র পর সম্প্রতি রাজামৌলি পরিচালিত ‘RRR’ ছবিটি বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। তারপর থেকে বারবারই আলোচনায় উঠে এসেছেন পরিচালক এস এস রাজামৌলি। সম্প্রতি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে নেওয়ার পর, ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডে আরও দু'দুটি পুরস্কার জিতে নিয়েছে রাজামৌলির ‘RRR'। সেসময়ই হলিউডের ফিল্ম নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গের সঙ্গে দেখা করেছিলেন পরিচালক। সম্প্রতি এদেশে মুক্তি পেয়েছে স্পিলবার্গের ‘দ্য ফ্যাবেলম্যানস’। সেই সুবাদেই ফের একবার কথা হল দুই দেশের পরিচালকের।
এস এস রাজামৌলি যেমন হলিউডের পরিচালকের কাছে ‘দ্য ফ্যাবেলম্যানস’ নিয়ে নানান প্রশ্ন করেছেন, তেমনই ‘RRR’, নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। নিজের ছবি ‘দ্য ফ্যাবেলম্যানস’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের জীবন ও পরিবার নিয়েও কথা বলেছেন স্পিলবার্গ। তাঁর কথায় উঠে এসেছে নিজের জীবন, তাঁর বাবা-মায়ের বিবাহ-বিচ্ছেদ এবং কীভাবে তিনি ছবি পরিচালনার কাজ শুরু করলেন, সেই সমস্ত বিষয়। কথা বলতে গিয়ে মার্কিন পরিচালক জানান, পরিবার ও শিল্পের সঙ্গে সবসময়ই ভারসাম্য রেখে চলা উচিত। জানিয়েছেন, ফ্যাবেলম্যানসের গল্পে কোনও খলনায়ক নেই, সেখানে রয়েছে শুধুই ভালোবাসা। যদিও ছবির মুখ্য চরিত্রকে জীবনের অতীতের বেদনাদায়ক কিছু স্মৃতি নিয়ে কষ্ট পেতে দেখা গিয়েছে।
স্টিফেন স্পিলবার্গ জানিয়েছেন, নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের সময় দিতে বহু প্রোজেক্ট তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এমনকি হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবিটিও ছেড়ে দিয়েছিলেন সন্তানের বেড়ে ওঠা সামনে থেকে দেখার জন্য। স্পিলবার্গের কথা প্রসঙ্গে রাজামৌলি জানান, তিনি অবশ্য এর থেকে অনেকটাই বিপরীত। কারণ, তাঁর স্ত্রী, ছেলে, ভাই, ভাইয়ের বউ সকলেই সিনেমা তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাই তিনি আলাদা করে তাঁদের আর মিস করেন না।
প্রসঙ্গত, রাজামৌলির স্ত্রী রামা মগাধীরা (২০০৯), এগা (২০১২), বাহুবলী: দ্য বিগিনিং (২০১৫), বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন (২০১৭), এবং RRR-এর ছবির পোশাক ডিজাইন করেছেন। রাজামৌলির বাবা ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ চিত্রনাট্যকার। তার ছেলে কার্তিকেয় একজন প্রযোজক, তাঁর ভাই কাঞ্চি রাজামৌলিও একজন লেখক। সুরকার এম এম কিরাভানি, যিনি এই বছরের অস্কারে RRR-এর নাটু নাটুর জন্য মনোনীত, এবং কল্যাণী মালিক সম্পর্কে তাঁর রাজামৌলির তুতো ভাই হন।
এদিকে কথোপকথনের শেষে নতুন পরিচালকদের উদ্দেশ্যে স্পিলবার্গের পরামর্শ তরুণ পরিচালকদের কম কথা বলে আশেপাশের মানুষজনের অভিজ্ঞতা শোনা উচিত।
'