কথায় বলে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। কিন্তু শুধু কি প্লেন ওড়ানোর স্বপ্ন থাকলেই প্লেন চালানো সম্ভব? এই অসাধ্যই সাধন করতে দেখা যাবে তিতলিকে। স্টার জলসার ধারাবাহিকের সেই প্রমো ঘিরেই এখন উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। মহা সপ্তাহরের প্রোমো প্রকাশ্যে আসবার পর থেকেই নেট দুনিয়ায় হাসির খোরাক টিম ‘তিতলি’।
টিআরপি তালিকায় এতদিন সেভাবে সারা না ফেললেও আপতত টলিপাড়ার ‘টক অফ দ্য টাউন’ তিতলি। আরিয়ান ভৌমিক ও মধুপ্রিয়া চৌধুরী অভিনীত এই ধারাবাহিকের প্রোমো দেখে কার্যত মাথায় হাত দর্শকদের। কী দেখিয়েছে এই প্রোমো?
ছোটবেলার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন যখন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে তিতলির সেই সময়ই স্বামীকে নিয়ে জীবনে প্রথমবার, হ্যাঁ, প্রথমবার প্লেনে চড়েছে সে। তবে সানির আশ্বাস,'হেরে যেও না। ঠিক সুযোগ পাবে নিজেকে প্রমাণ করার'। আর বরের মুখের কথা ফলে যেতে বেশি সময় লাগল না। আচমকাই বুকে ব্যাথা নিয়ে (খুব সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক) চালকের সিট ছেড়ে উঠে পড়লেন পাইলট। সহকারী পাইলট অনেকখানি নীরব দর্শকের ভূমিকায়, ককপিটে তখন সানিকে সঙ্গে নিয়েই ঢুকে পড়ল তিতলি। তারপর টপাটপ একের পর বটন টিপে ককপিটের দায়িত্বে সে! তাও বিনা প্রশিক্ষণে। বিমানের বাকি কর্মীরা নীরব দর্শকের ভূমিকায়। তিতলি কি পারবে যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে? সেই প্রশ্নই ছুঁড়ে দিচ্ছে প্রোমো।
ছোটবেলায় এক প্লেন ক্র্যাশের আওয়াজে নষ্ট হয়ে যায় তিতলির শ্রবণশক্তি। ছোট থেকেই আকাশে ওড়ার স্বপ্ন নিয়েই বড় হয়েছে সে। তবে পাইটল হওয়ার স্বপ্নে তাঁর মূল বাধা বধিরতা। বাস্তব জীবনেও শ্রবণশক্তিহীন মানুষ পাইলট হওয়ার সার্টিফিকেট পেতে পারেন, পাঁচ ধরণের বায়ুযান চালানোর ছাড়পত্র পান তাঁরা। তবে প্রশিক্ষণ ছাড়া প্লেন চালানো কারুর পক্ষের সম্ভব নয়। তাই এই প্রোমো ঘিরে ব্যাপক ট্রোলিংয়ের মুখে তিতলি। কেউ লিখেছেন- ‘কন্টিনিউ তিতলি নাটক দেখলে আমরাও প্লেন চালানো শিখতে পারবো মনে হচ্ছে’। কেউ আবার কমেন্ট বক্সে লিখেছেন- 'ওমা গো এতো টুরু পাইলট'। কোনও কোনও নেটিজেন আবার বলছেন- ‘জবাকেও দেখছি টেক্কা দেবে তিতলি’।
গল্পের গরু গাছে ওঠে- এই প্রবাদবাক্য মাথায় রেখেই প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্লেন চালাতে দেখা যাবে তিতলিকে। ১৬ থেকে ২০ নভেম্বর সন্ধে সাড়ে ছ’টায় পাঁচ দিনের মহা পর্বে এই কাহিনি ধরা পড়বে। এই ধারাবাহিকের প্রযোজক সুশান্ত দাস। কিছুদিন আগে একই প্রযোজনা সংস্থার ধারাবাহিক কৃষ্ণকলিতে মরোনাপন্ন রোগীকে বাঁচাতে ডিফিব্রিলেটরের জায়গায় বাথরুমের স্ক্রাবার ব্যবহার করা হয়েছিল। যা নিয়ে কম হাসির খোরাক হয়নি টিম কৃষ্ণকলি। সিনেমা হোক বা সিরিয়াল- সেটি অতিরঞ্জিত হবে সে তো জানা কথা। কিন্তু চিত্রনাট্য লেখবার সময় কিছুটা বাস্তবধর্মী কাহিনি বলবার চেষ্টা করলে বোধহয় খুব ক্ষতি হবে না ?