মাল্টিপ্লেক্স আসার পর থেকে একের পর এক সিঙ্গেল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। করোনার প্রকোপে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। এবার বন্ধের মুখে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, গড়িয়া, টালিগঞ্জ চত্বরের সবথেকে পুরনো প্রেক্ষাগৃহ ‘পদ্মশ্রী’। প্রেক্ষাগৃহ বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছেন 'পদ্মশ্রী' হলের মালিক।
উত্তম-সুচিত্রার ‘চাওয়া পাওয়া’ সিনেমা দিয়েই শুরু হয়েছিলন এই প্রেক্ষাগৃহের পথ চলা। বক্স অফিস হিট ছবি, লম্বা লাইন, শয়ে শয়ে মানুষের আনাগোনা, বহু উজ্জ্বল দিনের সাক্ষী ছিল এই সিনেমা হল। কিন্তু আজ তা ফিকে। পদ্মশ্রী জুড়ে শুধুই অন্ধকার। শহর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সিঙ্গেল স্ক্রিন থিয়েটার।
১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯ সালে প্রযোজক-ডিস্ট্রিবিউটর নারায়ণ সাধুখাঁ এই হলটি তৈরি করেন দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়া এলাকায়। ১৯৬০ সালে হলের উদ্বোধন হয়। নাম রাখা হয় ‘পদ্মশ্রী’। উত্তম- সুচিত্রা জুটির ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবি দিয়ে পথ চলা শুরু। প্রায় ৭২০টি আসন সংখ্যা নিয়ে তৈরি হয় এই হলটি। সেই সময় গড়িয়া, যাদবপুর , টালিগঞ্জ এলাকার প্রথম সিনেমা হল ছিল ‘পদ্মশ্রী’। তারপর একে একে বান্টি, মধুবন, মহুয়া, মালঞ্চের মতো হলগুলি চালু হয় ওই এলাকায়।
‘পদ্মশ্রী’ বিক্রির খবর শুনে মন খারাপ একাংশ সিনেপ্রেমীর। অনেকেরই কথায়, ‘এই হলে এককালে কত সিনেমা দেখেছিলাম’। কালের ভিড়ে ক্রমশও তা হারিয়েছে। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে বন্ধ এই হল। হল মালিকদের অন্যতম শ্যামল দে জানিয়েছেন, এই সিনেমা হলটি যে বা যারা কিনবেন সেটা তাঁদের একান্ত সিদ্ধান্ত হবে, এটি সিনেমা হল থাকবে কি থাকবে না।