সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরের দিন,১৫ জুন কুপার হাসপাতালের মর্গে প্রয়াত অভিনেতার অন্তিম দর্শনে পৌঁছেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বিতর্ক সামনে এসেছে। এবার এই ঘটনায় কুপার হাসপাতালর কর্তৃপক্ষ এবং মুম্বই পুলিশকে নোটিশ ধরাল মহারাষ্ট্রের রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তরফে এম সৈয়দ জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মুম্বই পুলিশের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে কোন নিয়মানুসারে ওইদিন রিয়াকে মর্গে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল।
সুশান্তের মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী ১৫ জুনের সকালে নিজের পুরো পরিবারের সঙ্গে কুপার হাসপাতালের মর্গে পৌঁছেছিলেন। এবং প্রায় ৪৫ মিনিট ভিতরে ছিলেন। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট অনুমতি ছাড়া নিজের পরিবারের সদস্য ছাড়া অপর কেউ মর্গে প্রবেশ করতে পারে না। তাহলে কীভাবে রিয়াকে সেইদিন অনুমতি দেওয়া হল ? জানতে চায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
সুরজিত সিং রাঠোর নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন তিনি সেদিন রিয়াকে মর্গের ভিতর নিয়ে গিয়েছিল। রাজপুত করণি সেনার এই সদস্য বলেন, সুশান্তকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সংগঠনের নির্দেশে তিনি সেদিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে সুশান্তের পরিবারের কোনও সদস্য উপস্থিত ছিল না। কিন্তু সন্দীপ সিং ছিলেন। এরপর তাঁর পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি, সুরজ সিং তাঁকে অনুরোধ করেন রিয়া চক্রবর্তীকে সুশান্তের অন্তিম দর্শনের ব্যবস্থা করিয়ে দিতে।
সুরজিত জানিয়েছেন, তিনি রিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যখন মর্গের ভিতর ঢোকেন তখন তিনি নিজে সুশান্তের মুখের সাদা চাদর সরিয়ে ছিলেন। এবং সেই সময় সুশান্তের বুকের উপর হাত রেখে একটাই শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন রিয়া ‘সরি বাবু’।
রিয়ার হাসপাতালের মর্গে প্রবেশ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুশান্তের বাবার আইনজীবী বিকাশ সিংও। তিনি বলেন, রিয়া যদি সুশান্তের সঙ্গে লিভ ইন রিলেশনশিপেও থেকে থাকেন তাহলেও রিয়া নিজেই সুপ্রিম কোর্টে সেই তারিখ বেঁধেদিয়েছেন যে ৮ জুন পর্যন্ত তিনি সুশান্তের সঙ্গে লিভ ইন রিপেশনশিপে ছিলেন। তাহলে ১৫ জুন পরিবাররে অনুমতি ছাড়া কীভাবে মর্গে ঢুকলেন রিয়া?
এই মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই একাধিকবার কুপার হাসপাতালের পৌঁছেছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। আপতত এই মামলায় ইডি, সিবিআইয়ের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে এনসিবিও। রিয়ার সঙ্গে মাদক চক্রের যোগাযোগের হদিশ পেয়েছে ইডি। অন্যদিকে বুধবার ফের ডিআরডিও গেস্ট হাউসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌঁছেছে সুশান্তের ফ্ল্যাট মেইট তথা ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি। এই নিয়ে একটানা ছ দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নের মুখে পিঠানি।