এষা দেওল, এই মুহূর্তে মা হেমার সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক জুহুর বাংলোতেই থাকেন। সম্প্রতি নিজেদের সেই বিলাসবহুল ও শিল্পের মেলবন্ধনে সাজানো বাড়ি ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন এষা। যে বাড়ির সাজসজ্জার যে বিষয়টি সবথেকে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে, সেটি হল বাড়ির দেওয়াল জুড়ে থাকা হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রের ছবি। তাঁদের ছবির নানান আইকনিক দৃশ্য। এমনকি কাস্টমাইজড কুশনেও রয়েছে ধর্মেন্দ্র ও হেমার ছবি। জুুহুর এই বাড়ি এষা তাঁর কিংবদন্তি বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এভাবে সাজিয়েছেন বলে জানান।
এষা দেওল নাচের রিহার্সাল হলটি ঘুরে দেখান আবার সেটিই বাড়ির লিভিং রুম বলা চলে। যেটি কিনা কমলা এবং হলুদ রঙের টোনে সাজানো হয়েছে। নাচের ঘর বা লিভিং স্পেস ঘুরিয়ে দেখানোর সময় এষা জানান, যে তিনি এবং তাঁর অভিনেতা-বাবা ধর্মেন্দ্র, দুজনেই বাড়ির চারপাশে সাজানোর জন্য 'শিল্পকর্ম, মজাদার এবং বিচিত্র জিনিস' খুঁজে বের করতে পছন্দ করেন।
এষা ও হেমা
‘বলিউড বাবল’এর সঙ্গে এষা নিজের বাড়িতে ঢুকতে ঢুকতেই বলেন, 'আমদের এখানে (জুহু) এবং বান্দ্রা়তেও একটা বাড়ি রয়েছে। আমাদের দুটো ঘর আছে... এটা নাচের ঘর, তাই আপনাকে জুতো খুলে এখানে ঢুকতে হবে। কারণ এটা আমাদের জন্য খুবই পবিত্র একটা স্থান। আগে এখানে ২০-৩০ জন নৃত্যশিল্পীকে নিয়ে নাচের রিহার্সাল হতো। আবার আমার মা এখানেই শুটিংয়ের জন্য তৈরি হতেন, তাই আমি এসব দেখেই বড় হয়েছি। ধীরে ধীরে আমরাও এই নাচের হল ঘরের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিলাম। এটা একটা বন্ধন।
প্রসঙ্গত ব্যক্তিগত জীবনে এষা ২০১২ সালে ব্যবসায়ী ভারত তখতানিকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই মেয়ে রয়েছে - রাধ্যা এবং মিরায়া। যদিও বর্তমানে ভারতের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছেন এষা। এখন মায়ের কাছেই থাকেন তিনি।
হেমা মালিনীর অফিস
এষা ঘুরিয়ে দেখান বাড়ির মধ্যেই তৈরি হেমা মালিনীর অফিস, যেখানে কিছু বড় বড় ফটোফ্রেমে সাজানো ছবি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম 'রাজিয়া সুলতানা' ছবি থেকে উটের উপর বসা হেমা ও ধর্মেন্দ্র আইকনিক ছবি। রয়েছে হেমা ও ধর্মেন্দ্রর জিতে নেওয়া কিছু পুরস্কার ও সংগ্রহ।
রয়েছে একটা ছবির শুটিংয়ের সময় অন্তঃসত্ত্বা হেমার সঙ্গে পোজ দেওয়া ধর্মেন্দ্রর পুরনো একটা সাদা-কালো ছবি। বছরের পর বছর ধরে হেমা যে পুরস্কার জিতেছেন সেগুলিও পুরো ঘর জুড়ে কাঠ এবং কাচের বইয়ের তাকগুলিতে সাজানো রয়েছে।
এষার মেক-আপ রুম
এষা তাঁর বাড়ির ঠিক বাইরেই থাকা ভ্যানিটি রুমটি ঘুরে দেখিয়েছেন। মজা করে বলেন 'এটা আসলে গ্যারেজের মতো। আমি এই ঘরের ফরাসি দরজাটি আমার বেশ পছন্দের।' এষার এই মেকআপ রুমটিতে এষার নানান পোস্টার ও ছবিতে সাজানো হয়েছে। তারই মধ্যে নজর কাড়ে একটা লেখা, যেখানে লেখা, ‘এই বাড়ির প্রত্যেকেই সিনেমার তারকা... দয়া করে স্টাইলে প্রবেশ করুন।’
ঘরটিতে রয়েছে একটা বিশাল আয়না এবং এষার শুটিংয়ের আগে প্রস্তুত হওয়ার জন্য নানান মেকআপ। সেই সব জিনিসপত্রগুলিই টেবিল সাজানো ছিল। সেখানে রয়েছে একটা সাদা-কালো রঙের প্যালেট। ঘরের সঙ্গেই রয়েছে ছোট্ট বসার জায়গা এবং সংলগ্ন একটা ছোট বাগান। ঘরের ভেতরের দেয়ালের সামনে একটা কফি টেবিলে কিছু বইও সাজানো ছিল। এষা বলেন, ‘এই ঘরটা শুধু আমার রেডি হওয়ার জন্য। এই দুটো চেয়ার আসলে আমার মেয়েদের মাকে রেডি হতে দেখার জন্য রাখা হয়েছে…’।
বসার ঘর
এষা দেওলের প্রযোজনায় তৈরি ‘এক দুয়া’ সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। বাড়ির অন্য তলায় থাকা বসার ঘরে বসে কথাগুলি বলছিলেন এষা। সেই বসার ঘরটি সম্পর্কে এষা বলেন, ‘এই জায়গাটি আমার জন্মের আগে থেকেই এখানে ছিল। এখানে কিছু আসবাবপত্র রয়েছে যা আমার দিদা ব্যবহার করতেন।’
সেই লিভিং রুমের প্রবেশদ্বারে থাকা সোনার ফ্রেমের সঙ্গে রয়েছে একটা বিশাল আয়না সঙ্গে একটা ম্যাচিং কনসোল টেবিল। সম্প্রতি সেই বসার ঘরটি নতুন করে সাজানো হয়েছে। সেখানে রয়েছে আরামদায়ক পুদিনা সবুজ রঙের সোফা। এষার বাবা-মা, ধর্মেন্দ্র ও হেমার ছবি লাগানো কাস্টমাইজড কুশন। আবার তারই সংলগ্ন ডাইনিং স্পেসটিও বেশ আকর্ষণীয়।