আরজি কর নিয়ে এমনিতেই মানসিক যন্ত্রণা। তারওপর হাসপাতালে কাছের মানুষ। অপারেশন হল শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের দিদি দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। হাসপাতাল থেকে নিজের হাতের চ্যানেল করা একটি ছবি শেয়ার করেছেন দেবশ্রী। আর শত কষ্টের মধ্যেও তাঁর মুখে আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ প্রসঙ্গ।
১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখলের রাতে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল দেবশ্রীকে। তবে তারপর থেকে আর পথে নামেননি। যার কারণ তিনি নিজেই জানালেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। দিলেন ব্যান্ডেজ বাঁধা হাতের ছবি। আসলে মিছিলে হাঁটার অবস্থাতেই নেই দেবশ্রী। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, হার্নিয়ার অপারেশন হচ্ছে।
দেবশ্রী তাঁর সোশ্যাল পোস্টে লেখেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তারের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এই নির্যাতিতা মেয়েটির জন্য ন্যায়বিচার আমিও চাই। কিন্তু ১৫ অগাস্ট থেকে আমি হাসপাতালে। কেবলমাত্র ১৪ তারিখ রাতের জমায়েতেই অংশ নিতে পেরেছিলাম। শারীরিকভাবে প্রতিবাদে অংশ নিতে পারছি না বটে, তবে আমার হৃদয় কেমলমাত্র ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছে। ঘৃণা করি সেই সমস্ত মানুষদের যারা এখনও দোষী। গোটা পরিস্থিতি আমাকে বড্ড বেশি প্রভাবিত করেছে। আমার থেকে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
এদিকে রবিবার টলিউডের তরফে একটি জমায়েতের আয়োজন করা হয়। তাতে স্লোগান ওঠে, ‘সিনেমাপাড়ার একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর।’ মিছিলে পা মেলান শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেন, সৌরসেনী মৈত্র, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়রা।
এদিন আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে নিজের লেখা একটি কবিতা শেয়ার করেন শুভশ্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে। ‘শাস্তি চাই! শাস্তি চাই! দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই!’, তুললেন দাবি। সঙ্গে প্রশ্ন, ‘সংস্কার ধরে রাখার সব দায়িত্ব কী আমাদের/ ওরা তাহলে করবে কী’।
‘অনেক হয়েছে নোংরামি, অনেক করেছো পাপ/ তাও নেই কোনো অনুতাপ/ তাই তো ফেসবুকে পোস্ট এর বন্যা’, লিখলেন অভিনেত্রী নিজের লেখা কবিতায়। আর শেষ প্রতিবাদের ভাষা আরও জোরালো। ‘আমরা নাকি পতিতা/ আমরা নাকি নষ্টা/ দেখ এবার এবার গড়বে দুনিয়া/ যেখানে বাপকেও ছাড়ে না পাপ’।