১০ মাস আগেই পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই মা হওয়ার সুবাদে শুভশ্রীর শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। ইউভানের জন্মের পরে নায়িকার শরীরে বিস্তর বেবি ফ্যাট ছিল।সিজারিয়ান সার্জারির পর শরীর নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান নি শুভশ্রী, তাই ধীরে ধীরে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে জিম, যোগা করে ওজন ঝরাচ্ছেন নিজেরে প্রেসেন্টেবল করে তুলতে। কিন্তু নায়িকার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে নেটিজেনদের একাংশের মাথাব্যাথার শেষ নেই।
মাসকয়েক আগেই ক্যামেরার সামনে ফিরেছেন শুভশ্রী। আপতত একটি ডান্স রিয়ালিটি শো-এর বিচারক তিনি। আস্তে আস্তে শুভশ্রীর আগের চেহারা ফিরেও পাচ্ছেন কিন্তু শরীর নিয়ে কটাক্ষ করাবর লোকের কমতি নেই। ‘ওরে বাবা এতো মোটা হয়ে গিয়েছেন’, ‘আরও রোগা হন দেখতে সুন্দর লাগবে’, শরীরের নিয়ে নিয়মিত এই ধরণের খোঁটার মুখ পড়ছেন শুভশ্রী। এবার বডি শেমিংয়ের বিরুদ্ধে জবাব দিলেন শুভশ্রী।
অভিনেত্রীর পরিচিত একজনকে সরাসরি মেসেজ করে বলেছিল ‘তুমি তো শুভশ্রী দিদির খুব কাছে আছো তাই তোমার কাছে একটা অনুরোধ, প্লিজ শুভশ্রীদিকে বলো আগের মতো আরও স্লিম হতে। আরও স্লিম হলে আরও বেশি সুন্দর লাগবে’। এই বার্তার পালটা জবাব দিয়েছেন শুভশ্রীর সেই পরিচিত। সেখানে স্পষ্ট লেখা- ‘শিশুর জন্ম দেওয়ার পর একজন নারীর শরীরে নানান পরিবর্তন হয়। অনেক জটিলতাও তৈরি হয়। আর ওজন কমানো কোনও জাদুমন্ত্র নয়। শুভশ্রী একজন অভিনেত্রী হলেও একজন রক্তমাংসের মানুষ। সুতরাং, শুভশ্রী নিজের ওজন কমাবেন কি কমাবেন না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’। এই স্ক্রিনশট শেয়ার করে ধন্যবাদজ্ঞাপনের ইমোজি যোগ করেন শুভশ্রী।
পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সাম্প্রতিকতম এক ফটোশ্যুটের ছবি শেয়ার করে শুভশ্রী লেখেন,‘তোমার সৌন্দর্যের ব্যখ্যা তুমি নিজে করবে। সমাজ তোমার সৌন্দর্যের ব্যখ্যা দেবে না'। সেই ছবিতে স্লিভলেস ব্লাউজ আর সবুজ শাড়িতে দেখা মিলল শুভশ্রীর। গা ভর্তি সোনার গয়না আর চোখে সানগ্লাস। শুভশ্রীর এই বার্তা যে ট্রোলারদের উদ্দেশে তা বুঝে নিতে খুব বেশি অসুবিধা হয় না।
রবিবার ফেসবুকের দেওয়ালে এক শুভাকাঙ্ক্ষীর লেখা একটি বার্তা শেয়ার করে নেন শুভশ্রী। সেখানে স্পষ্ট শুভশ্রী অনুরাগীর বার্তা- 'মাতৃত্ব আসার পর থেকে বারবার কিছু সংখ্যক মানুষদের দ্বারা কুরুচিকরপূর্ণ ভাবে ট্রোলড হতে হয়েছে অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী কে ... আর ইদানিং আপলোড করা একটি ফটোর কমেন্টবক্সেও চূড়ান্তভাবে করা হয়েছে বডিশেমিং , তাকে দেগে দেওয়া হয়েছে ‘ মোটা হাতি’র মতো অশ্রাব্য কটূক্তিতেও ... কিন্তু এসব তীরগুলো কি আদেও একটা মেয়ের দিকে ছোঁড়া হচ্ছে নাকি একজন মায়ের দিকে ? হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে কিছু মেয়েই সেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে , একজন মেয়ে হয়েও একটা মেয়ের চেহারা নিয়ে তির্যক কটূক্তি করতে তাদের মুখে বাঁধছে না ... মায়ের চেয়ে সুন্দর এই মায়াবী পৃথিবীতে আর কিচ্ছু আছে কি ?’