এই নিয়ে দু দিন আরজি কর নির্যাতিতার হয়ে পথে নেমেছেন টলিউডের অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী, নিজের সিনেমা বাবলি-র প্রচারও বন্ধ রেখেছেন। আর এবার নিজের ভিতরে জমে থাকা সব দুঃখ-কষ্ট-ক্ষোভ তুলে ধরলেন সামাজিক মাধ্যমে।
নিজের লেখা একটি কবিতা শেয়ার করলেন রাজ চক্রবর্তী-পত্নী। ‘শাস্তি চাই! শাস্তি চাই! দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই!’, তুললেন দাবি। সঙ্গে প্রশ্ন, ‘সংস্কার ধরে রাখার সব দায়িত্ব কী আমাদের/ ওরা তাহলে করবে কী’।
আরও পড়ুন: ‘বাড়ি গিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করুন’, পুলিশের দিকে তেড়ে এল মহিলা, এর নাম প্রতিবাদ?
‘অনেক হয়েছে নোংরামি, অনেক করেছো পাপ/ তাও নেই কোনো অনুতাপ/ তাই তো ফেসবুকে পোস্ট এর বন্যা’, লিখলেন অভিনেত্রী নিজের লেখা কবিতায়। আর শেষ প্রতিবাদের ভাষা আরও জোরালো। ‘আমরা নাকি পতিতা/ আমরা নাকি নষ্টা/ দেখ এবার এবার গড়বে দুনিয়া/ যেখানে বাপকেও ছাড়ে না পাপ’।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের পুরুষদেরও একটু লজ্জা হওয়া উচিত’! আরজি কর নিয়ে বললেন এক মেয়ের বাবা শাশ্বত
তবে এখানও সমালোচিত হলেন তিনি। এক নেটনাগরিক মন্তব্য করল, ‘দিদির থেকে পারমিশন নিয়েছিলেন এসব করার আগে??’ দ্বিতীয়জনের মন্তব্য, ‘আপনার স্বামী কী পদত্যাগ করেছে? না আমি কোনও কাপুরুষ, বেকার, যারা সারাদিন তারকাদের ট্রোল করে, আমি কলকাতার এক সম্মানীয় বাসিন্দা।’
আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে এমন কী কথা হল, যে হেসে ফেললেন পরমব্রত? স্বস্তিকা লিখলেন, ‘মেয়েদের গণ্ডি…’
তৃতীয়জন লেখেন, ‘এখন যারাই প্রতিবাদ করতে আসছেন, তাদেরকে আমাদের এভাবে না বলে উৎসাহ দেওয়া উচিত। যদি সে অপরাধীও হয়, সেটা পরে দেখা যাবে। কিন্তু একজন আন্দোলনকারী যদি বাড়ে তাকে দেখে, আরো দশজন আসবে, সেজন্য এখন এক হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। কে কি করেছে কে কি করেনি সেটা দেখে হেনস্তা করলে একজোট হওয়া যাবে না। সবাই নিজের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগাবেন আশা করি এবং একজোট হয়ে আমাদের মত প্রতিবাদ করবেন। আপনাদের প্রতি শুভকামনা রইল’।
চতুর্থজন লেখেন, ‘আগে নিজের স্বামীকে টিএমসি পার্টি থেকে রিজাইন দিতে বলো, সত্যিই যদি এর বিরুদ্ধে লড়াই করো। সেই ক্ষমতা আছে? তোমার রাজকে বলো যাতে পার্টি থেকে রিজাইন দেয়।’
এর আগে রাজ বলেন আরজি করবে ঢাল বানিয়ে একাংশ টার্গেট করছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে। তাঁর কথায়, ‘প্রত্যেকে নিজের মতো করে ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। একজন ব্যক্তির সঙ্গে অপরের প্রতিবাদের ভাষা না মিললেই তাঁকে আক্রমণ করার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। খুব খারাপ লাগছে দেখে।’