অভিনেত্রী দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে খুব শীঘ্রই দেখা যাবে ‘ফাটাফাটি’ সিনেমায়। রাজর্ষি দে-র পরিচালনায় ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ দিয়ে প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি। একটু বেশি বয়সেই অভিনয়ে এসেছেন। তবে তাঁর আরও একটা পরিচয় আছে অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের দিদি তিনি। শুভশ্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই ধরা দেন। সঙ্গে নিজেও খুব অ্যাক্টিভ ইনস্টাগ্রামে। শাড়ি থেকে ওয়ান পিস-- সব রকম পোশাকেই তাঁর দেখা মেলে সামাজিক মাধ্যমে।
সম্প্রতি দেবশ্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে কর্পোরেট ফিল্ডে থাকাকালীন কীভাবে অফিসে তাঁকে ‘সাদা হাতি’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। এবার আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন প্রাক্তন স্বামীর থেকেও ‘মোটা’ হিসেবে কটাক্ষ শুনেছেন। যা একসময় তাঁর আত্মবিশ্বাসই ভেঙে দিয়েছিল।
আসলে অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল বর্ধমানে খুব সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠা দেবশ্রীর। তবে সেই বিয়ে সুখের হয়নি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে ছেলে কোলে নিয়ে স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যান। দেবশ্রী জানিয়েছেন সে সময় বাবা-মা যেমন তাঁকে আগলে রাখতেন, তেমনই রাখতেন বোন শুভশ্রীও। সেই প্রাক্তন স্বামী তাঁর চেহারা নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ ছাড়ত না। পাশে থাকা সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গেও তুলনা টানতেন।
দেবশ্রীর কথায়, ‘আমার প্রাক্তন স্বামী এক বার বলেছিল, 'তোমার মা যে সব সময় সুন্দরী সুন্দরী করেন। নিজের চেহারা কখনও আয়নায় দেখেছ? আসল সুন্দরী কাদের বলে আমার সঙ্গে বেরিয়ে দেখবে।' আমি তো তখন ছোট ছিলাম। জীবনটা শাহরুখ খানের সিনেমার মতো ছিল। সব যেন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।’
দেবশ্রী দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। বোন শুভশ্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দিদির বিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সেই বিয়ে দু মাসের বেশি টেকেনি। স্বামীর হাতে শারীরিকাবে নির্যাতিত হন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দ্বিতীয় স্বামীর নামে ক্রিমিনাল রেকর্ডও রয়েছে। তারপর আইনের দ্বারস্থ হন।
দেবশ্রীর কথায়, মেয়েরা একা থাকা মানেই পুরুষ ভেবে নেয় হয় সেই মেয়ের শারীরিক চাহিদা আছে অথবা প্রয়োজন আছে আর্থিক সাহায্যের। আর সেই ফাঁক গলে ঢুকে পড়ার তালে থাকে পুরুষরা। শুভশ্রীর দিদির সাফ কথা, ‘ছেলেরা বোঝে না যে মেয়েরা খুব স্মার্ট। অরগ্যাজমের জন্য আমাদের কোনও পুরুষের দরকার নেই। চাহিদা মেটানোর আরও অনেক উপায় আছে।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)