১২ বছরের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করলেন সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। দর্শকদের কাছে রান্নাঘরের রানি নামেই পরিচিত তিনি। স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাটিয়ে ফেললেন ১২টা বছর। ৯ জুলাই বিবাহবার্ষিকী উদযানের একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন সুদীপা।
২০১০ এর ৯ জুলাই আইনি বিয়ে হয় সুদীপা ও অগ্নিদেবের। বিবাহর্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে স্মৃতির পাতা থেকে অগ্নিদেবের সঙ্গে একটি ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন সুদীপা। ক্যাপশনে লেখা, 'এক যুগ পার হল… শুভ বিবাহবার্ষিকী'। স্বামী অগ্নিদেবকে অনেক ভালবাসাও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সুদীপা ও অগ্নিদেব। বিয়ের ৭ বছর পর সামাজিক বিয়ের অনুষ্ঠান করেন তাঁরা।
করোনাকালে আড়ম্বর করে বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেননি দম্পতি। বাড়িতেই ঘরোয়া উদযাপনের আয়োজন করতে দেখা যায় দম্পতিকে। বারো বছর একসঙ্গে কাটানোর পর স্বামী অগ্নিবেদের সঙ্গে সেলফিও নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি। পাশাপাশি কাকরি কাবাবে ঘরোয়া আয়োজনে বিবাহ বার্ষিকীর একযুগ উদযাপন করতে দেখা যায় দম্পতিকে।
পরিচালক অগ্নিদেবের সঙ্গে উত্তর কলকাতার যৌথ পরিবারের মেয়ে সুদীপার আলাপ কাজের সূত্রে ৷ বয়সের ব্যবধান থাকলেও তা পাত্তা দেননি কেউই। সঙ্গে এটি ছিল অগ্নিদেবের দ্বিতীয় বিয়ে। আনুষ্ঠানিক বিয়ের ৭ বছর পর আইনি বিয়েতে বাঁধা পড়েছিলেন এই জুটি ৷
একবার নয়, দুই বার হনিমুনে গিয়েছিলেন সুদীপা। প্রথমবার অগ্নিদেব-সুদীপা গিয়েছিলেন মানালিতে ৷ ৭ বছর পর রেজিস্ট্রি সেরে দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমায় গন্তব্য ছিল সুদূর ইউরোপ ৷ ফেসবুকে সুদীপা জানিয়েছেন, তিনি হিন্দি ছবির ভক্ত৷ তাই মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাওয়ার ইচ্ছে, প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, মানালি ও সুইৎজারল্যান্ড৷ সুদীপার কথায়, অগ্নিদেব কম কথার মানুষ৷ তাই অল্প হেসে তাঁর দু’টি স্বপ্নই পূর্ণ করেছিলেন।
স্বামী অগ্নিদেব এবং ছেলে আদিদেব এবং প্রথম পক্ষের ছেলে আকাশকে নিয়ে সুদীপা এখন ভরপুর সংসারী। একাধিকবার সুদীপা জানিয়েছেন, তাঁর কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনে অগ্নিদেবের প্রভাব সীমাহীন। তাই তো ভালবেসে মানুষটিকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তিনি।