একটা সময় একটা ধারাবাহিক শুরু হওয়ার অর্থই ছিল অন্তত ২-৩ বছর চলবেই সেটা। বেশি বই কম নয়। কিন্তু সেটা এখন কমতে কমতে কখনও ২ মাস, কখনও ৪ মাসে দাঁড়িয়েছে। খুব কম সিরিয়াল ১ বছরের গণ্ডি টপকাতে পারে। পড়ছে টিআরপিও। কিন্তু কেন এই হাল বাংলা সিরিয়ালের। কারণ বোঝালেন সুদীপা।
আরও পড়ুন: 'এবার নাটক থেকে বেরোতে হবে...' হঠাৎ কেন এমন বললেন অনির্বাণ?
আরও পড়ুন: আর 'লক্ষ্মী কাকিমা' নয়, এবার অপরাজিতা মাফিয়া! ‘বানসারা’য় কার সঙ্গে জড়াবেন সংঘাতে?
বাংলা সিরিয়াল নিয়ে কী লিখলেন সুদীপা?
পাকিস্তানি সিরিয়াল কভি ম্যায়, কভি তুম ধারাবাহিকটির শেষ পর্ব টিভিতে নয়, দর্শকদের দাবিতে বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে, পাকিস্তানি সিরিয়াল এবং বাংলাদেশের নাটকের সঙ্গে এপার বাংলার সিরিয়ালের তুলনা টানেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তিনি এদিন লেখেন, 'একটি টিভি সিরিয়াল সারা দেশের সিনেমা হলে শেষ মেগা এপিসোড রিলিজ করছে। আজ সারা দেশে হাজার হাজার লোক মিলে সিনেমা হলে এই এপিসোডটা দেখবে, পারলে এই সিরিয়ালটি ইউটিউবে দেখে নেবেন, কভি ম্যায় কভি তুম। এখানে শুধুমাত্র নায়িকাই রান্না করবে, বাসন মাজবে, মন্দিরে প্রদীপ জ্বালাবে….. আবার বরকে বাবু আর আপনি বলে সম্মোধন করবে। এবং এখানেই শেষ নয়- শাশুড়ি মায়ের অত্যাচার মুখ বুজে সইবে।'
তিনি এদিন আরও লেখেন, 'দাঁড়ান! দাঁড়ান! এখানেই শেষ নয়, আরও আছে। বন্দুক হাতে অশুভ শক্তির নিধন করবে। আর মাঝে মাঝে, বরের প্রেমিকা বা বউকে সাহায্য করবে । এটা কোন বর্বরতার দিকে মেয়েদের ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে? দর্শকরা বাধ্য হচ্ছেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ- পাকিস্তানের সিরিয়াল মুগ্ধ হয়ে দেখতে। কি সুন্দর গল্পের বন্ধন, কি ন্যাচরাল মেকআপ, কি স্বাভাবিক জামা কাপড়, কোনও সেট নয়। সব আসল লোকেশনে শ্যুটিং । বাঘা বাঘা অবিনেতারা তাতে। আমরা কোনওদিনও ভাবতে পারি একটা গল্প মানুষ এত পছন্দ করেছে যে নির্মাতারা বাধ্য হয়ে, Theatrical release করছে শেষ এপিসোড? আর কবে আমাদের চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বুঝবেন, যে দর্শক টিভি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন? বাধ্য হচ্ছেন- বাংলাদেশি নাটক, পাকিস্তানি সিরিয়াল,আর কোরিয়ান ড্রামা দেখতে। এটা কতদিন অস্বীকার করবেন? সেই এক গল্প, এক পোশাক, এক সেট। এবার জাগুন! আর কতদিন শাঁখাঁ-সিঁদুরের দিব্যি দিয়ে এক গল্প নতুন মোড়কে চালাবেন?'
সুদীপা সাফ সাফ তাঁর পোস্টে বলেন, 'টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি একটা বড় মাপের ইন্ডাস্ট্রি। প্রচুর পরিবার চলে এই ইন্ডাস্ট্রিকে ভিত্তি করে। অনেক সংসার চলে। সেই ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে এত ছেলেখেলা! বেশিদিন সইবে না। কেন বাস্তব থেকে সরে আসছে বাংলা সিরিয়াল? আমি জানি এর পর আমাকে অনেকে খারাপ খারাপ কথা লিখবেন। হয়তো ট্রোল হব আবার। কিন্তু,আজ এই পোস্টার তা দেখে আর থাকতে পারলাম না। আমি এই ইন্ডাস্ট্রিকে ভালবাসি । এই ইন্ডাস্ট্রি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। তার কাছে আমার দায়বদ্ধতা আছে। সত্যিকারের মন খারাপ থেকে এত কিছু লিখলাম।'
প্রসঙ্গত সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের কেরিয়ার কিন্তু ছোট পর্দা থেকেই শুরু। একাধিক মেগায় কাজ করেছেন তিনি। নজর কেড়েছেন। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন রান্নাঘরের সঞ্চালিকা হিসেবে। যদিও বর্তমানে তিনি টিভি থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন। ইউটিউবে পোস্ট করেন নানা ভিডিয়ো। করেন পোশাকের ব্যবসা