আরজি কর নিয়ে দীর্ঘ ৩৫ দিন কেটে গেলেও, এখনও সমাধান মেলেনি। হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণ করা হয়। সেই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই শনিবার রাতেই। তবে শনিবারের দিনটি শুধু এই কারণে নয়, নাটকীয় হয়ে থাকল জুনিয়র ডাক্তার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে চলা, স্নায়ুর টানটান লড়াইয়ের কারণেও। দিন শেষে দেখা যায়, রাজ্য সরকারের সব শর্ত মেনেও আন্দোলনরত ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কালীঘাটে আলোচনার জন্য রাজি হলেও, তাঁদেরকে একপ্রকার ‘ভাগিয়ে দেন’ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
টলিউডের অনেকেই মুখ খুলেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ নিয়ে। বিশেষ করে একটি ছবি যেন কথা বলছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বৃষ্টিস্নাত ডাক্তাররা হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে, সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী সেই ছবি শেয়ার করে লিখলেন, ‘এটা হৃদয়বিদারক’। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় সেই ছবি শেয়ার করে লিখলেন, ‘এটা টাইমলাইনে থেকে যাক’।
আরও পড়ুন: ‘পবিত্র আত্মার শান্তি কামনা করি ডোনা’, লেখা সৌরভ-পত্নীর ফেসবুকে! পরে জানা গেল হ্যাক হয়েছে সেটি
সুদীপ্তার পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘শিক্ষিত v/s অশিক্ষিত লড়াই চলছে। এখন শান্ত থেকে ও ধৈর্য ধরতে হবে।’ আরেকজন আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করলেন, ‘সবসময় একপক্ষ থাকবেন না। দিদি আজ যা করেছেন, কখনো কোনো মুখ্যমন্ত্রী পারেননি।’
আরও পড়ুন: ‘ডাক্তাররাই আমাদের হিরো…’, কান্না পাচ্ছে সৌরভের, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে খোঁচা রানার
এদিকে শনিবার আরজি করে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। একইসঙ্গে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়, তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে। সিবিআই- এর তরফে সুপ্রিম কোর্টে আগেই বলা হয়েছিল যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ক্রাইম সিন বিকৃত করা হয়েছে, তথ্য প্রমাণ সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হয়নি। নিন্দকদের দাবি, এই গ্রেফতারির আভাস পেয়েই, তড়িঘড়ি বৈঠক বাতিল করে শাসকপক্ষ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শনিবার সকালে হঠাৎই পৌঁছে গিয়েছিলেন সল্টলেকের ধর্নাস্থলে। সেখানে তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ডাক্তাররা মেইল করে বৈঠকের প্রস্তাব দিলে, প্রশাসনের তরফে ডাকা হয় কালীঘাটে। কিন্তু সেখানে গিয়ে লাইভ স্ত্রিমিং, আর ভিডিয়ো রেকর্ডিং নিয়ে জট বাধে। তারপর আন্দোলকারীরা বৈঠকের সারবস্তা টুকু লিখিত আকারে রাখার দাবি জানায়, দুপক্ষের সই সমেত। কিন্তু তাতেও রাজি না হওয়ায়, বৈঠকই মুলতুবি হয়ে যায়।