আরজি করের বিচার এখনও অধরা। এদিকে রাজ্য সরকারের কাছে যে দাবিগুলো রেখেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা সেগুলোও রাখা হয়নি বলে দাবি তাঁদের। ৭ জন মিলে বসেছিলেন অনশনে। এমন অবস্থায় আন্দোলনকারী দেবাশীষ হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করার। জবাব দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: 'সবসময় সবাইকে সাহায্য করেছেন', জার্মানিতে লাইভ শো চলাকালীন রতন টাটাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিলজিতের
কী ঘটেছে?
সম্প্রতি একটি ছবি দারুণ ভাইরাল হয় সেখানে দেখা যাচ্ছে আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশীষ হালদারের স্ত্রী ডাক্তার স্নিগ্ধা হাজরা অনশন করছেন। এবং তাঁর পাশে বসে মুগ্ধ নয়নে তাঁর দিকে তাকিয়েই পালস মাপছেন দেবাশীষ। ছবিটা ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা তাঁদের ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দেন। কিন্তু কেউ কেউ কটাক্ষও করেছেন।
এক ব্যক্তি (এক্স হ্যান্ডেলের নাম গরীব বাঙালি, রূপন ভাই) লেখেন, ' জুনিয়র ডাক্তার যার মাসিক স্টাইপেন্ড ৩৫ হাজার এই একটা আরমানি এক্সচেঞ্জের টিশার্ট পরে আছে যার দাম ৮০ ডলার বা ভারতীয় অর্থে ৬৭১৭ টাকা।' সেই ব্যক্তি তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, 'এটা কি অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের রাস্তা না থাকলে সম্ভব? এখনই তদন্ত করা হোক, যদি আয়ের অতিরিক্ত কিছু সোর্স পাওয়া যায় তাহলে যেন ওর রেজিস্ট্রেশন ক্যানসেল করে দেওয়া হয়।'
সত্য ঘটনা কী?
দেবাশীষ হালদারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতেই মেঘনীল চৌধুরী নামক এক ব্যক্তি দাবি করে সত্য এমন কিছু নয়। বরং অন্য। তিনি তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে এই বিষয়ে সত্য জানিয়ে লেখেন, 'গত পরশুদিন। দুপুরবেলা হঠাৎ মৃন্ময় দা এসে বলে, মেঘনীল ভাই দেবার এক সেট জামা প্যান্ট জোগাড় করতে পারবি? ওর জামাগুলো পুরো ঘেমে গেছে, দাদার জামা কাপড় আনতে যাওয়ার মতো সময় ছিল না। সারাদিন সারারাত ওরা পড়ে থাকে ধর্মতলায়। বিচার চাইতে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটি পাশেই, ধর্মতলার ঢালা tshirt এর বিক্রেতার কাছে। দেখিওনি কী brand -এর নাম লেখা ছিলো। তাড়াতাড়ি জামা প্যান্টটা পৌঁছনো দরকার ছিল।' তিনি আরও লেখেন, 'না, উনি কোনো branded জামা পরে নেই। উনি একটা ফুটপাথের দোকানের ২০০ টাকার tshirt পরে আছেন। ওনার ব্যাপারে এরম অভিযোগ আনার আগে, একবার দেবাশিস হালদারের সাথে কথা বলে আসুন। বুঝতে পারবেন, মাটির মানুষ বলতে কী বোঝায়। T-shirt টা আমি কিনেছিলাম। আবার বলি ৮০ ডলার এর নয়। ২০০ টাকার। ধর্মতলা ফুটপাথ। পছন্দ হলে নিজেও কিনে নিন। যে এরম লিখেছেন তাঁকে ধিক্কার জানাই। কে কী জামাকাপড় পরছে সত্যিই ভাবার মতো সময় নেই, মানসিকতাও নেই। আপনাদের হয়তো অষ্টমী, ওঁদের আজ ১২৮ ঘণ্টার আমরণ অনশন। ভুলভাল narrative এ চোখ কান দিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে, ধর্মতলায় আসুন। পাশে দাঁড়ান।'
কী লিখেছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী?
সুদীপ্তা চক্রবর্তী এদিন মেঘনীলের করা পোস্টটি শেয়ার করেন। সঙ্গে ক্যাপশনে একটি লাল হৃদয়ের ইমোজি পোস্ট করেন। সঙ্গে জানান 'পুরো জামার ছবি কমেন্টে দিলাম।'