৯ অগস্ট RG কর কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে একমাস। এখনও বিচার পাইনি কলকাতার নির্যাতিতা 'বোন'। তাই মন ভালো নেই রাজ্যবাসীর। উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পথে নেমেছেন তারকারাও। শুরুর দিকে বেশকিছু ছবির টিজার লঞ্চ অনুষ্ঠান স্থগিতও রাখা হয়েছিল। তবে বাধ্য হয়েই পূর্ব নির্ধারিত মতোই কিছু বাংলা ছবি মুক্তি দিতেই হচ্ছে। আর সেকারণেই ছবির প্রচারের জন্য ট্রোলও হতে হচ্ছে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। যদিও তাঁরা বারবার জানাচ্ছেন, সকলে যেমন প্রতিবাদের পাশাপাশি কাজ করছেন, কোনও সেক্টরই যেমন বন্ধ নেই, তেমন এটাও তো তাঁদের কাজ। তবু ট্রোলিং বন্ধ হচ্ছে না।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় থেকে সোহিনী সরকার, কেউই নেটপাড়ার ট্রোলিং থেকে বাদ পড়েননি। আর এবার ট্রোলিংয়ের মুখে সুদীপ্তা চক্রবর্তী। কিন্তু কেন এই ট্রোলিং?
শুক্রবার, সুদীপ্তা নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুকের পাতায় লেখেন, ‘মন থাকুক সেক্টর ফাইভে। চোখ থাকুক শিয়ালদায়।’ অর্থাৎ সেক্টর ফাইভে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ও শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দিকে চোখ রাখার কথা বলেছেন সুদীপ্তা। প্রসঙ্গত শিয়ালদহ কোর্ট ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রায়ের নারকো টেস্টের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তাই এই পোস্ট করেছিলেন সুদীপ্তা। কিছু লোকজন, এই পোস্টের কমেন্ট বক্সেও কিছু না বুঝেই ট্রোল করতে শুরু করে দেন।
একজন লেখেন, ‘আপনার ও তো নতুন ছবি আসছে শুনলাম। দেখুন এসব করে সিনেমা হিট হয় কিনা’। সুদীপ্তা অবশ্য এই ব্যক্তিকে উত্তর দিতে ছাড়েননি। লেখেন, 'সময় পেলে একটু স্বাস্থ্য ভবন এর দিকে চলে যান। ওখানে কিছু শিক্ষানবিশ ডাক্তার 'অভয়া ক্লিনিক' চালাচ্ছেন। কান টা দেখিয়ে নিন একবার। আপনার কানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভুল শুনছেন।' সুদীপ্তার কথার সঙ্গে জুড়ে বিরসা দাশগুপ্ত লিখেছেন, ‘মাথা মন সবেরই ডক্টর আছে, ফ্রি-চেকআপ।’
তবে শুধু সুদীপ্তা, বিরসা নন, নেটপাড়ার অনেকেই ওই ট্রোলারকে পাল্টা তুলোধনা করেছেন।
প্রসঙ্গত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শুরু থেকেই জোর কদমে, সাধারণের সঙ্গে পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। আরজি করের প্রতিবাদে রাজ্য় সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফেরাতেও দ্বিধা করেননি সুদীপ্তা। এমনকি প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সুদীপ্তার একরত্তি মেয়ে শাহিদাও।