অবশেষে আন্দোলনে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তররা। দেখতে দেখতে দু মাস হতে চলল আরজি করের নারকীয় ঘটনার। রাজ্য সরকারকে 'ডেডলাইন' দিয়ে শুক্রবার কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন তাঁরা। তবে সঙ্গে রাখলেন বড় শর্তও। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে তাঁরা হুঁশিয়ারি দিলেন, 'আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলি না মানা হয়, আমরা নিজেদের জীবন বাজি রাখব। এই মঞ্চ থেকে আমরা আমরণ অনশনের দিকে এগোব'। তাঁরা ১০টি দফা দাবি রেখেছেন। যাতে সঠিক রোগী পরিষেবা, সিসিটিভি, অভয়ার ন্যায় বিচার, থ্রেট কালচার-এর মতো সব কিছুই আছে।
ডাক্তারদের বক্তব্যের ভিডিয়ো নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে সুদীপ্তা চক্রবর্তী লিখলেন, ‘আমরণ অনশন.......! হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে এবার। আর ভাবতে পারছি না!!’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অশেষ দূর্নীতি, মিথ্যাচার, ধাপ্পাবাজি, লোক দেখানো মিটিং আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ফলাফল এবার ভয়ানক হতে চলেছে বোধহয়…’
যাতে এক নেট-নাগরিক মন্তব্য করলেন, ‘আজকের মিটিংয়ে একদম সামনে থেকে বক্তব্যটা শুনলাম। ভাবতে ভীষন অবাক লাগলো, যেই মুহূর্তে এই আমরণ অনশন শব্দটা উচ্চারণ করলেন, এক মুহূর্তের জন্যও গলা কাঁপল না! সত্যি এই মাটি ক্ষুদিরাম- সুভাষ চন্দ্র-র মাটি। প্রণাম ও শ্রদ্ধা।’ আরেকজন লিখলেন, ‘আমরা উৎসব করি বরং... আর ছেলে-মেয়েগুলো না খেয়ে… ছিঃ ছিঃ, কি লজ্জা। উফফফ মা দুর্গা তুমি সহায় হও, সত্যের লড়াই এত কঠিন।’
আরও পড়ুন: দেশভাগের গল্প, জিন্না-গান্ধীর দ্বন্দ্ব, প্রকাশ্যে ফ্রিডম অফ মিডনাইটের টিজার
এদিকে, শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আসার পর ওয়াই চ্যানেলে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। এরপরই ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে জুনিয়র ডাক্তারদের। মেট্রো চ্যানেলের সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে, দাবি ওঠে পুলিশের তরফ থেকে। ওয়াই চ্যানেলে তাঁরা বসার কথা জানালে পুলিশের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কলকাতার রাস্তায় কাপড় ছাড়তে বাধ্য হন বিদ্যা বালন, শুধু থাকত একটা কালো কাপড়
এরই মাঝে জুনিয়র চিকিৎসকদের আর একটি দল যারা ওয়াই চ্যানেলে সাংবাদিক বৈঠকের জন্য কিছু আসবাব নিয়ে আসছিল, তাঁদের গাড়ি আটকায় পুলিশ। সেখানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র ডাক্তারকে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররাতারপর ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলেই বসে পড়েন। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা। ডাক্তারদের দাবি, দুজনজুনিয়র ডাক্তারকে একা পেয়ে, এই জঘন্য কাজ করে কলকাতা পুলিশ।