রবিবার যখন শহর কলকাতায় ঢল নেমেছিল দুর্গা ঠাকুর দর্শনের, ঠিক তখনই ধর্মতলায় ডাক্তারদের অনশন মঞ্চের সামনে ছিল তারকা থেকে সাধারণ মানুষের চিন্তিত মুখ। ২৪ ঘণ্টার উপরে অনশনে ৬ ডাক্তাররা। রবিবার সেই দলে যোগ দিয়েছেন আরও একজন। ভিডিয়ো শেয়ার করে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিলেন সুদীপ্তা, দেবলীনা, উষসীরা। জুনিয়র ডাক্তারদের কথাও নিয়ে এলেন সামনে।
‘আমরা এখন ধর্মতলায়। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে। আমি শুধু জানতে চাইছিলাম যে, হচ্ছেটা কী! আমি খুব টেনশনে। ঘরে থাকতে পারছি না’, বললেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। দেবলীনা পাশ থেকে বললেন, ‘আপনারা একবার আসুন এখানে। দেখুন অবস্থা কেমন অ্যালার্মিং’। উষসী যোগ করেন, ‘ওরা কেমন ম্রিয়মান হয়ে গেছে। চোখে দেখেই বুঝতে পারবেন।’
অভিনেতা সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন সুদীপ্তা-দেবলীনাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা তো দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি। বুঝতে পারছি না কী করা উচিত আমাদের এবার।’
সেখানে উপস্থিত দুই জুনিয়র ডাক্তার জানালেন, আমরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। জাস্টিস ফর অভয়া যাতে আর দেরি না হয়। আর যেন, জয়নগর, নির্ভয়া, হাথারাস না হয়। দেবলীনা স্পষ্ট করলেন, ‘অনশন মঞ্চের পাশে জুনিয়র ডাক্তারেদর বায়ো টয়লেট তুলে নেওয়া হচ্ছে। ৩জন মেয়ে, ৪ জন ছেলের বায়ো টয়লেট তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে পুলিশের বায়ো টয়োলেট রয়েছে। কেন?’
তাতে সুদীপা বলে, ‘কেন আবার। ওরা চাপ দিচ্ছে যাতে অনশন উঠে যায়…’! পুলিশের মোবাইল টয়লেট থাকলে, জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য কেন নয়, বারবার সেই প্রশ্নই উঠছে।
এখানেই শেষ নয়, দেখা গেল অনশন মঞ্চের সামনে বসে গিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। যাতে নজর রাখতে পারে পুলিশ-প্রশাসন।
ভিডিয়োর শেষে সুদীপ্তা বললেন, ‘এখানের ছেলে-মেয়েগুলো যদি মরে যায়… আমার শব্দের জন্য ক্ষমা করবেন, তাহলে কিন্তু আমরানিজেদের কখনো ক্ষমা করতে পারব না। পুজো হচ্ছে, উৎসব হচ্ছে, বাজার হচ্ছে, ঠাকুর দেখা হচ্ছে, সবই খবরপাচ্ছি। তবে এখানে না উৎ-শব হতে চলেছে। আর তার জন্য আপনারাও দায়ী থাকবেন।’
দেবলীনা বললেন, ‘জনগণকে বলছি একবার অন্তত দেখে যান এসে। ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সঙ্গেই আসুন। ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলোকে দেখুন। কাছাকাছি ওদের বাথরুম করতে যাওয়ারও সুযোগ নেই। একবার আওয়াজ তুলবেন না আপনারা?’
‘ভয় পাওয়ানোটা দরকার। নয়তো আপনার বাড়ির সবার সঙ্গেও পরবর্তীতে ঘটবে’, শেষ করলেন সুদীপ্তা।