অমিতাভ বচ্চনের কৌন বনেগা ক্রোড়পতি দেখে অনেকেই কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তবে এবার বাংলাতেও আসছে খানিকটা এই ধরনের একটা শো। তবে কোটি নয়, এই শোয়ে কিছু গেম খেলেই জিতে নেওয়া যাবে ১ লক্ষ টাকা। আর এই শো শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। সান বাংলার এই শোয়ের নাম তাই 'লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ'।
এই শোয়ের বিষয়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হচ্ছে, ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ নিছক একটা গেম-শো নয়, মহিলাদের নিজেদের স্বপ্নপূরণের একটা প্ল্যাটফর্ম হতে চলেছে এই শো। মহিলাদের স্বনির্ভর হবার ইচ্ছেকে আরও জোরালো করতেই আমাদের এই নতুন উদ্যোগ। খুব শীঘ্রই সান বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হবে লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ।’
চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে আরও জানানো হচ্ছে, ‘বাংলার সব মহিলারাই এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন অডিশনের মাধ্যমে। লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ-শোয়ে মোট ৪ রাউন্ডে খেলা হবে। প্রতি রাউন্ডেই খেলার শেষে প্রতিযোগীদের জন্য থাকছে নগদ টাকার পুরস্কার। একেবারে ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়িনীর জন্য থাকবে এক লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার। প্রতিপর্বে তিনজন করে মহিলা প্রতিযোগী থাকবেন। তবে কাউকেই খালি হাতে ফিরতে হবে না।’
আরও পড়ুন-'ক্রেজি নেহি কপি কিয়া রে…', ঐশ্বর্যকে নকল! নেটিজেনদের কাছে ধরা পড়ে গেলেন কৃতি শ্যানন
আরও পড়ুন-একই ড্রেস বারবার, কে কী বলল তাতে ভারী বয়েই গেল! বিয়ের লেহেঙ্গা পরেই দিওয়ালি পার্টিতে আলিয়া
তবে এখন প্রশ্ন এই শোয়ের সঞ্চালনার আসনে কাকে দেখা যাবে?
চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ‘এই গেম শো-টি সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকবেন জাতীয়পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।’ সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবিষয়ে জানাচ্ছেন, ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ একটা নন ফিকশন শো। আমার নন ফিকশন শোয়ের সঞ্চালনা করতে বরাবরই খুব ভালো লাগে। আমার কেন জানি না মনে হয়, এটাই আমার জায়গা। আমি এখানে নিজেকে খুঁজে পাই। আর তাই শুভঙ্কর যখন আমাকে এই প্রস্তাব দেয় (শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়-পরিচালক-প্রযোজক) আমি শুরুতেই এটাতে হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম। কারণ, বাংলা টেলিভিশনে শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নন ফিকশন বানাচ্ছেন মানেই সেটা একটা দারুণ বিষয়। আর আমার শুভঙ্করের পরিচালনায় নন-ফিকশন কখনও করা হয়নি। আমাদের দুজনেরই একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে ছিল, তবে আগে কখনও হয়ে ওঠেনি। তাই এই সুযোগটা আসতে আর হাতছাড়া করলাম না।’
সুদীপ্তা আরও বলেন, ‘আমাকে বহু দর্শকই অনেকসময় প্রশ্ন করেন, আপনাকে টিভিতে কেন দেখিনা? আমারও টেলিভিশনে কাজ করতে ইচ্ছে করে, তবে ফিকশন অর্থাৎ সিরিয়ালে সময় দিতে পারব কিনা এই ভয়ে আমার আর ফিকশন করা হয় না। সিরিয়াল করার প্রস্তাব যে আসে না তা নয়, আসে। তবে আমি সময় করে উঠতে পারব কিনা তা নিয়ে সংশয়ে থাকি। নন ফিকশনে একটা সুবিধা রয়েছে। এক্ষেত্রে একসঙ্গে বেশ খানিকটা শ্যুট করে নেওয়া যায়। তাই মাঝখানে বেশকিছুটা গ্যাপ পাওয়া যায়। আমার আরও নানান যেসমস্ত কাজকর্ম রয়েছে, সেগুলো করেও এটা করা সম্ভব। আর আমার যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সেগুলো নিয়ে যদি কোনও শো করতে পারি, তাহলে সেটা হল এটা। আর এই শোয়ে সঞ্চালকের চরিত্রটি যেভাবে ভাবা হয়েছে, সেটা অনেকটাই আমি। আমার অনেকগুলো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে এটা পুরোপুরি মিলে যায়। তাই এই শোটা পেয়ে আমি খুব খুশি, আশাবাদী যে শোটি দারুণ হবে। এটার মাধ্যমে আমি আবারও অনেক অনেক দর্শকদের কাছে পৌঁছে যেতে পারব।’