সুহানা খানের এখন স্থায়ী ঠিকানা নিউ ইয়র্ক। মার্কিন মুলুকে ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা করছেন শাহরুখ-গৌরী কন্যা। বাবার পদচিহ্ন মেনে ভবিষ্যতে অভিনয়কেই কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিতে চান মন্নতের রাজকুমারী। তবে পড়াশোনা নিয়ে খুব কড়া শাহরুখ! গ্র্যাজুয়েশনের ডিগ্রী না থাকলে গ্ল্যামার দুনিয়ায় পা রাখা অসম্ভব সুহানার।
বলিউডে পা রাখবার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুহানার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। দাদা আরিয়ান, যতটা সম্ভব লাইমলাইট এড়িয়ে চলেন, এই মামলায় সুহানা একদম উলটো। নিউ ইয়র্কে কাটানো নানান মুহূর্ত উঠে আসে এই ইনস্টা সেনসেশনের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, পার্টি থেকে শুরু করে নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট এইসব দিয়েই নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতা ভরিয়ে দেন সুহানা খান। এবার তিনি তুলে ধরলেন নিউ ইয়র্ক অ্যাপার্টমেন্টের অন্দরমহল। নিউ ইয়র্কে যে বাড়িতে থাকেন সুহানা তা দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠবে!
নিউ ইয়র্কের হাই-রাইজ বিল্ডিংয়ের কাচের ব্যালকনি থেকে সূর্যাস্তের ঝলক মুঠোফোনে বন্দি করে ইনস্টা স্টোরিতে তুলে ধরেছেন সুহানা খান, যার সুবাদে তাঁর অন্দরমহলের ঝলকও ধরা পড়েছে। এই ছবির সঙ্গে কোনও ক্যাপশন যোগ করেননি এই স্টার কিড।
তুখোড় ফ্যাশানেবল এই স্টার কিড নিরাশ করেন না ভক্তদেরও। সময়ে সময়ে নিজের ফ্রেমবন্দি মুহূর্ত শেয়ার করে নেন সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। সম্প্রতি কালো পোশাকে একটি উষ্ণ ছবি ইনস্টায় শেয়ার করেছিলেন সুহানা। কিন্তু আচমকাই সেটি মুছে দেন শাহরুখ তনয়া। সেই ছবি মুছে দিলেও তাঁর ফ্যানপেজ গুলিতে এখন জ্বলজ্বল করছে সেই ছবি। এগুলি ডিলিট করবার কোনও স্পষ্ট কারণ জানাননি সুহানা।
শুধু ছবি মুছে দেওয়াই নয়, তার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের কমেন্ট বক্সও সীমিত করেছেন সুহানা। অর্থাত্ এখন শুধুমাত্র তাঁরাই সুহানার পোস্টে কমেন্ট করতে পারবেন, যাঁদের ফলো করেন খোদ সুহানা। মুম্বইয়ের ধীরুভাই আম্বানী ইনসটিটিউশন থেকে পড়াশোনা শেষ করে ব্রিটেনের আরডিংলে কলেজের পর এখন নিউ ইয়র্কে পড়াশোনা করছেন সুহানা খান। অভিনয়ের প্রতি বরাবরই আগ্রহ তাঁর।
হিন্দুস্তান টাইমসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান জানিয়েছিলেন, সুহানা অভিনয় করতে চান। সেজন্য তাঁকে তিন-চার বছর অভিনয় শিখতে হবে, যদি সুহানা সত্যিই অভিনয় করতে চান। অভিনেতা এও জানিয়েছিলেন, ইন্ডাস্ট্রির তাঁর অনেক বন্ধুই মনে করেন তাঁর ছেলে-মেয়েদের কাল থেকে অভিনয় করা উচিত। তবে তিনি বিশ্বাস করেন পড়াশোনা শেষ করা সবচেয়ে বেশি জরুরি, তারপরই কেরিয়ার তৈরিতে মন দেবে সুহানা।