Sukesh Chandrasekhar on Chahatt Khanna: কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে একাধিক বলিউড অভনেত্রীর। প্রায় প্রত্যেককেই দামি দামি উপহার দিয়ে সঙ্গিনী বানানোর আকাঙ্খা প্রকাশ করেছিলেন বলে আছে অভিযোগ। যদিও সেসব হেলায় উড়িয়ে দিয়েছেন জেলে থাকা সুকেশ। এই যেমন কদিন আগেই চাহাত খান্না দাবি তোলেন সুকেশ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। এবার সেই দাবিই নস্যাৎ করলেন এই কনম্যান।
২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় যখন কারাবন্দি ছিলেন সুকেশ, সেইসময় দেখা করতে এসেছিলেন চাহাত। সনম্প্রতি দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে গিয়ে যে বয়ান রেকর্ড করেন এই অভিনেত্রী তাতে দাবি করা হয়েছে, তিহাড় জেলে বসেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুকেশ।
যদিও সুকেশ চন্দ্রশেখরের সাফ কথা, মিথ্যে বলছে চাহাত! তিনি বলেন, ‘বিবাহিত বা এক সন্তানের মা, এরকম মহিলাদের উপর আমার কোনও ইন্টারেস্ট নেই। আমি ওদের মতো গোল্ড ডিগার নই।’ সঙ্গে জানিয়ে দেন কাজের সূত্রেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় চাহাতের।
এদিকে চাহাত দাবি তুলেছিলেন, তাঁকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিহাড় জেলে। তাঁকে অনবরত ব্ল্যাকমেল করছিল সুকেশের লোক। ফলে বাধ্য হন তিনি দেখা করতে যেতে। শুধু তাই নয়, ফাঁদে ফেলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিহাড় জেলে। একটি স্কুলে যাওয়ার নাম করে প্রতারণা হয় তাঁর সঙ্গেও।
সুকেশের ঘনিষ্ঠতা ধরা পড়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, নোরা ফতেহিদের সঙ্গেও। নোরাও দাবি তুলেছেন, সুকেশ তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল পিঙ্কি ইরানির মাধ্যমে। বদলে দিতে চেয়েছিল দামি দামি উপহার। যদিও সুকেশের দাবি, নোরাই নাকি চেয়ে চেয়ে তাঁর থেকে বাড়ি-গাড়ি নিয়েছে। নোরা ফতেহি্র মোরক্কোর বাড়িও সুকেশের টাকাতেই কেনা।
একমাত্র জ্যাকলিনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার কথা বারবার বলেছেন সুকেশ। বলেছেন, তাঁরা একে-অপরকে ভালোবাসেন। যদিও , সম্প্রতি অভিনেত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমার আবেগ নিয়ে খেলেছে এবং আমার জীবনকে নরক বানিয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখর।’ এমনকী সুকেশ জ্যাকলিনের কাছে নিজের নামও গোপন রেখেছিলেন। পরিচয় দিয়েছিলেন শেখর হিসেবে। প্রসঙ্গত, এই একই নাম বলা হয়েছিল চাহাত খান্নাকেও।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)