মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টার জন্য নিখোঁজ ছিলেন কমেডিয়ান সুনীল পাল। মঙ্গলবার সান্তাক্রুজ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর স্ত্রী সরিতা পাল। স্ত্রীর বারবার চেষ্টা করার পরেও কৌতুক অভিনেতা তার যোগাযোগের নম্বরে সাড়া দিতে ব্যর্থ হন। ফলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী।
সুনীল পাল নিখোঁজ
মঙ্গলবার একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, সুনীল পাল একটি অনুষ্ঠানের জন্য পারফর্ম করতে মুম্বইয়ের বাইরে গিয়েছিলেন। কমেডিয়ান তাঁর স্ত্রীকেও জানিয়েছিলেন যে তিনি ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ফিরবেন। কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি এবং বারবার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী এখন সান্তাক্রুজ থানায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিখোঁজ' গল্পে মোড় আসে যখন সন্ধ্যায় সুনীল নিজেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের জানান যে তিনি নিরাপদে আছেন এবং মঙ্গলবার গভীর রাতে বা বুধবার সকালে বাড়ি ফিরবেন। সুনীল তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তাঁর স্ত্রী থানায় আর কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে কমেডিয়ান-অভিনেতা মুম্বইতে ফিরলে, দিনের বেলায় তিনি কোথায় ছিলেন তা জানতে চাইবে পুলিশ। সুনীলের স্ত্রী সরিতা একটি পাপারাজ্জোকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জানান, 'সুনীলজির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
সুনীল পাল এর সম্পর্কে
সুনীল পাল ২০০৫ সালে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার পরে মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন এবং সেই শোটি জিতেছিলেন। তিনি হাম তুম (২০০৪) এবং ফির হেরা ফেরি (২০০৬) এর মতো সিনেমায় ছোট পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
২০১৭ সালে সুনীল দাবি করেছিলেন, বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক আনিস বাজমি (যিনি সম্প্রতি ভুল ভুলাইয়া থ্রি পরিচালনা করেছেন) তাঁকে দিয়ে কাজ করানোর পরও পারিশ্রমিক দিচ্ছেন না। তিনি সেইসময় বলেছিলেন, ‘বিভিন্ন প্রযোজকদের কাছে বাজারে আমার ২০-২৫ লক্ষ টাকা আটকে আছে। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রযোজকদের দেরিতে অর্থ প্রদান করা বেশ সাধারণ বিষয়। তবে আমরা শিল্পী হিসেবে বুঝি, একজন প্রযোজক আসলেই সম্পদ বা লিকুইড মানি থেকে বঞ্চিত কি না। কিন্তু আনিসের মতো একজন প্রযোজক, যিনি কোটি কোটি টাকায় খেলেন, তিনি যখন এমন আচরণ করেন, তখন তা ক্ষমার যোগ্য নয়।’
২০২১ সালে, আন্ধেরি পুলিশ স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানকে কোভিড ম্যানেজমেন্ট এবং চিকিৎসায় কর্মরত চিকিৎসকদের সম্পর্কে ‘অবমাননাকর এবং আপত্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের ৮১১টি হাসপাতালের ১২ হাজার চিকিৎসক ও ৮১১টি হাসপাতালের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাসোসিয়েশন অফ মেডিক্যাল কনসালট্যান্টস (মুম্বই) এই অভিযোগ তুলেছিল।