২০০১ সালে হিট হয়েছিল গদর। আমির খানের লগনের সঙ্গে একইদিনে মুক্তি পেলেও বক্স অফিসে কামাল করেছিল সানি আর আমিশার জুটি। এরপর ২২ বছর পর প্রকাশ্যে এল গদর ২। যা ইতিমধ্যেই ভারতের বাজারে পেরিয়ে গিয়েছে ৪৫০ কোটির ঘর। সর্বোচ্চ আয়কারী তৃতীয় ছবি এই মুহূর্তে। উপরে আছে পাঠান আর বাহুবলী ২।
তবে গদর ২-এর সাফল্যের পর আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সানি জানালেন, ২০০১ সালে গদর সুপার হিট হলেও কাজ পাননি তিনি। বরং সেই সময় থেকেই তাঁর সংগ্রাম শুরু হয়।
‘গদর’ মুক্তি পাওয়ার আগে অবধি সব ঠিকঠাক চলছিল। সানির কথায়, সেই সময় ‘হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি’ হয়ে উঠছিল ‘বলিউড’। কর্পোরেট সংস্থাগুলি টেকওভার করছিল, এবং সেই সময় সবকিছুর হিসেব হত ত্রৈমাসিকে।
সানি আরও জানান, এখন যখন পিছন ফিরে তাকান বুঝতে পারেন তিনি টিকে গিয়েছেন, যে কাজগুলি তিনি বেছে নেন সেগুলির জন্য। বড় কোম্পানি বা বড় মাথাদের সঙ্গে কাজ করেননি। বরং উঠতি পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন যাদের মধ্যে ভালো কাজ করার তাগিদ ছিল। সানি জানান, সেই মানুষগুলোই এখন তাঁর এই সাফল্যে খুব খুশি। সঙ্গে ধর্মেন্দ্র-পুত্র জানান, এতদিন পর তিনি তখন আসা কঠিন সময় নিয়ে কথা বলছেন কারণ, তিনি বর্তমানে খুশি। আর সেই সময়টাকে পিছনে ফেলে এবার এগিয়ে যেতে চান।
সানি আরও জানান, পরবর্তীতে যে সিক্যুয়েলগুলি তাঁর নিয়ে আসার ইচ্ছে রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ‘আপনে ২’ এবং ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ৩’। ‘এর মধ্যে ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ৩’-এর স্ক্রিপ্ট এখনও আমাদের হাতে নেই। তবে আপনে ২-এর রয়েছে। যার গল্প হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।’ সানি ওই প্রেস কনফারেন্সে মজার ছলে জানান, অনেক নায়িকাই ‘আপনে ২’-র কাজের অফার ফিরিয়েছেন অনস্ক্রিন মায়ের রোল করতে রাজি নয় বলে। তাঁর আসা এবার অন্তত কেউ না কেউ রাজি হবে। গদর ২-এর মতো আপনে ২-ও পরিচালনা করার কথা রয়েছে অনিল শর্মার।
এর আগে গদর ২ ছবি ৪০০ কোটির ঘর পের হলে একটি ভিডিয়ো আপলোড করেন সানি। যেখানে তাঁকে গদর ২-এর অসাধারণ ব্যবসার অঙ্ক নিয়ে কথা বলার সময় কেঁদে ফেলতে দেখা যায়। সানি বলে ওঠেন, ‘আপনাদের সবার গদর ২ ভালো লেগেছে দেখে আমি খুব খুশি। আমি কোনওদিনও ভাবিনি এমনটা হবে। আমরা ৪০০ কোটি পেরিয়ে গিয়েছি এবং আরও দূর যাব। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু আপনাদেরই জন্য। আপনাদের ভালো লেগেছে ছবি। আপনাদের ভালো লেগেছে তারা সিং আর সাকিনা আর পুরো গদর পরিবারকে।’