দীর্ঘ পাঁচ মাসের সফর শেষ। ৪২তম পর্বে এসে ইতি পড়ল সুপারস্টার সিঙ্গারের সফরে। আবারও একবার জাতীয় স্তরের রিয়ালিটি শো-তে বঞ্চিত হল বাংলা। ইন্ডিয়ান আইডলে হারের মুখ দেখেছিল শুভদীপ, সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠবার ৫ মাস পরেই আবারও মন খারাপ বাংলার।
এই বছর সোনি টিভির সুপারস্টার সিঙ্গারের মঞ্চে নজর কেড়েছিলেন শিলিগুড়ির শুভ সূত্রধর। শুধু দর্শক নন, করণ জোহরের মতো এ-লিস্টার প্রযোজক-পরিচালকের নজর কেড়েছেন শুভ। তবুও শিকে ছিঁড়ল না। রবিবার গ্র্যান্ড ফিনালেতে হারের মুখ দেখলেন শিলিগুড়ির ১৫ বছরের কিশোর। এদিন এক নয়, দুজনের হাতে উঠল সুপারস্টার সিঙ্গার সিজন ৩-র ট্রফি। জনপ্রিয়তার বিচারে অর্থাৎ দর্শকদের ভোটে উইনার হলেন আর্বিভাব এস। একফোঁটাও হিন্দি জানে না সে, তা সত্ত্বেও এই খুদের গান মন ছুঁয়েছে সবার। পিহু-আবির্ভাবের বন্ধুত্ব ছিল এই শো-এর টিআরপির অন্যতম হাতিয়ার। অন্যদিকে বিচারকদের চুরচেরা বিশ্লেষণের পর সেরা নির্বাচিত হল অর্থব বক্সী।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে ১৫ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হয়েছিল সুপারস্টার সিঙ্গারের মূল পর্ব। এরপর একাধিক এলিমিনেশনের পর অবশেষে সামনে আসে টপ ৯-এর নাম। অথর্ব, আর্বিভাব, শুভ ছাড়াও ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন লাইসেল রাই, পিহু শর্মা, ক্ষিতিজ সাক্সেনা, মাস্টার আরিয়ান, দেবনশ্রীয়া এবং খুশি নগর।
ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ছেলে অর্থব। এর আগে সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসের মঞ্চও মাতিয়েছে সে। ১২ বছর বয়সী অর্থব যোগ্য হিসাবেই এই ট্রফি জিতেছে। ওদিকে জনপ্রিয়তার বিচারে আর্বিভাব ও শুভর মধ্যে ছিল কড়া টক্কর। এদিন চ্যানেলের তরফে ফার্স্ট কিংবা সেকেন্ড রানার-আপ নামও ঘোষণা করা হয়নি। দুই বিজয়ী ট্রফি ছাড়াও পেয়েছে ১০ লাখ টাকার নগদ পুরস্কার।
গ্র্যান্ড ফিনালে-তেও শুভ তাঁর গানের মূর্ছনায় মুগ্ধ করেছে সকলকে। এদিন সাগর ছবির ‘চেহরা হ্যায় ইয়া চান্দ খিলা হ্যায়’ এবং ‘পহলা নশা’ গাইলেন শুভ। শেষ পর্যন্ত ট্রফি না জিতলেও ফ্যানেদের চোখে সেরা শুভ।
শুরু থেকেই ‘ভে কমলেয়া’, ‘কেশরিয়া’, ‘চন্না মেরেয়া’, ‘হর কিসি কো নেহি মিলতা’, ‘ও মাহি’-র মতো অরিজিতের গান গাইতে শোনা গিয়েছে শুভকে। এর জেরেই নেটপাড়ায় খুদে অরিজিৎ নামে সে পেয়েছে জনপ্রিয়তা। তবে অরিজিৎ-এর সঙ্গে এই তুলনাই কি কাল হল শুভর?
সুপার জাজ নেহা ৯জন ফাইনালিস্টের হাতেই নিজের তরফে তুলে দেন এক লক্ষ টাকার চেক। খুদেদের নিজের পছন্দমতো জিনিস কিনতেই এই টাকা দিয়েছেন নেহা দিদি।