অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এ প্রথমবার দর্শক অনস্ক্রিনে জুটি হিসেবে পেয়েছিল ঋদ্ধি সেন এবং সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও একসঙ্গে কফি খাওয়া বা নাটক দেখতে যাওয়া, পাশাপাশি থেকেছেন দু’জনে। টলিউডের এই অভিনেতা জুটির সম্পর্কটা কেমন? তাঁরা কি বন্ধু? নাকি বন্ধুত্বের থেকেও বেশি কিছু? ঋদ্ধিকে একবার এই প্রশ্ন করা হলে, সুরঙ্গনাকে বিশেষ বান্ধবী হিসেই স্বীকার করেছিলেন অভিনেতা।
আজ অভিনেত্রী সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ দিন। কারণ আজ তাঁর জন্মদিন। আর বিশেষ বান্ধবীর জন্মদিনে একরাশ ভালোবাসা উজাড় করে দিলেন ঋদ্ধি। তাঁর সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে ভেসে উঠল সুরঙ্গনার সঙ্গে একটি মিষ্টি ছবি।
একরাশ ভালোবসা উজাড় করে ঋদ্ধি লিখেছেন, ‘আজকের দিনটা বলছে পৃথিবীতে এই অতিথির ২৪ বছর হলো, তার মধ্যে আমার এই অতিথিকে চেনা মাত্র আট বছর, কিন্তু এই বিশেষ দিনটায় কিছু লিখতে গেলেই দেখি কথা হারিয়ে যায়, কারণ তোর বন্ধু হবার পর, এই আট বছরে বুঝেছি জন্মদিন বছরের বা মাসের বা সপ্তাহর যে কোনও দিন আসতে পারে, মানুষ বদলায় প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে, কিছু বদল ভালোর দিকে, কিছু আবার খারাপের ঘরে, কিন্তু বন্ধুত্বের সাদা পাতার রাগ, দুঃখ ,অভিমান, ভালোবাসার, বিভিন্ন রংগুলোর মধ্যে দিয়ে চিনে নেওয়া যায় নিজেকে, বন্ধুর তুলির সাহায্যে’।
এখানেই শেষ করেননি তিনি। আরও লিখেছেন, ‘তাই প্রত্যেকবার নিজেকে আরেকবার খুঁজে পাওয়ার সময়গুলো হয়ে দাঁড়ায় জন্মদিন, তাই তোর সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পর আমার জন্মদিন এসেছে বছরে বহুবার। তাই আজকের নির্দিষ্ট দিনটায় কিছু লিখতে কথা গেলে ফুরিয়ে যায়, কারণ ‘কতোটা ভালোবাসি’ সেটা বলতে ইচ্ছে করে রোজ, মাঝে মাঝেই অবাক লাগে, আমি এমন একজন বন্ধু পেলাম কি করে? তাই ভালোবাসা, অবাক লাগা, মুগ্ধতা, সব কিছু একদিনে কি বলা যায়? তাই অনেক কিছু বলবো ভেবে শেষমেশ চুপ করে গেলাম। কারণ ‘কথা’ যে পল সিমন’এর ‘সাইলেন্ট রেইনড্রপসের’এর মতোও হতে পারে সেটাও চিনতে শেখা তোর জন্যই’।
ঋদ্ধি লেখেন, ‘আর দশ বছর বা কুড়ি বছরে চারপাশটা কতটা সুস্থ আর বাসযোগ্য থাকবে জানিনা, কিন্তু এই বন্ধুত্তটা থেকে যাবে জানি, থেকে যাবো আমর…… ১৯৯৭ সালের ১৯ নভেম্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তোমার মতো অতিথিকে পৃথিবীতে আমন্ত্রণের জন্য। শুভ জন্মদিন সুুরঙ্গনা’।
শুধু অনস্ক্রিন নয় অফস্ক্রিনেও এই জুটির রোম্যান্স দুর্দান্ত। অনস্ক্রিনেও এ জুটিকে বার বার ফিরে পেতে চান দর্শক।