'রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো', ‘চূড়ান্ত রাজনীতিকরণ’ - এমনই সব যুক্তি খাড়া করে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলা মুম্বইয়ে স্থানান্তরের আর্জি জানালেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। যদিও দীর্ঘ সওয়ালের পরও আপাতত স্বস্তি পেলেন না তিনি। মামলা স্থানান্তর নিয়ে মঙ্গলবার কোনও রায় দিল না শীর্ষ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে রিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়। অভিযুক্ত অভিনেত্রীর আইনজীবী শ্যাম দিভান সওয়াল করেন, ‘আমাদের ছোটো দাবি হল, পাটনা পুলিশ যে এফআইআর দায়ের করেছে, তার সঙ্গে পাটনায় হওয়া কোনও অপরাধের যোগ নেই। এফআইআর দায়েরে ৩৮ দিনের বেশি দেরি হয়েছে। তাতে রাজ্যের প্রভাব আছে এবং পক্ষপাতিত্ব আছে। বিহারে এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব আছে।’
রিয়ার আইনজীবী কার্যত মুম্বই পুলিশের তদন্ত নিয়ে ‘সন্তোষ’ প্রকাশ করেন। দিভান বলেন, ‘মহারাষ্ট্র পুলিশ হলফনামা দায়ের করে জানিয়েছে, সন্তোষজনক তদন্ত চলছে। পাটনা পুলিশ এফআইআরের দায়েরের বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং সঞ্জয় ঝা সেই এআইআর দায়ের এবং মামলটা বিহারে তদন্ত করার বিষয়ে জোর করেন।’
সুশান্তের বান্ধবীর সুরেই মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণেই বিহার পুলিশকে তদন্তে নামানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘মহারাষ্ট্র পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, একটাও নয়। কেউ যদি সেটা নিয়ে টানতে চায়, তাহলে আমরা তা করতে পারি। আমরা সবাই জানি, যে রাজ্য শীঘ্রই ভোট আছে, সেই রাজ্য কেন এরকম করছে। ভোটের পর আপনি এই মামলার বিষয়ে কিছু শুনতে পাবেন না।’
যদিও বিহার পুলিশের আইনজীবী মনিন্দর সিং স্পষ্ট জানান, ঘটনায় পাটনা পুলিশের তদন্তে কোনও আইনি বাধা নেই। মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে তদন্ত না করারও অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, ‘আইনি বৈধতার ভিত্তিতে বিহারে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। কারণ কোনও কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়। আমাদের পুরোটা পরিষ্কার করতে হবে। কোনও তদন্ত করা হচ্ছিল না। নীতিশ কুমার মোটেই হস্তক্ষেপ করেননি। মামলায় বিহার পুলিশের এক্তিয়ার আছে।’ অন্যদিকে সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং আবার বলেন, ‘বিহারের মানুষের উপর নির্মমতার জন্য পরিচিত শিবসেনা।’