বাবার সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক ভালো ছিল না, রিয়ার দাবি নস্যাত্ করে দেবে এই ভিডিয়ো

আজ সুশান্তের বাবা কেকে সিংয়ের জন্মদিন। প্রথমবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা এল না ছেলের কাছ থেকে!

বাবার থেকে ঠিক কী শিখেছিলেন সুশান্ত ? 

সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে একেবারেই ভালো ছিল না তাঁর পরিবারের সম্পর্ক। রিয়া তাঁর জীবনে আসার আগে বাবার সঙ্গে নাকি পাঁচ বছর দেখাও করেননি সুশান্ত। গত সপ্তাহে সাংবাদমাধ্যমে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রিয়া চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সুশান্তের মা'কে নাকি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা এবং সেই কারণেই বাবা-ছেলের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। যদিও সুশান্তের পরিবার ও পরিচিতদের তরফে এই দাবি আগেই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সুশান্তের জামাইবাবু বিশাল কীর্তি নিজের ব্লগে লেখেন, তাঁর শ্বশুর মশাই পাঁচ ছেলে-মেয়ের জন্য সবটুকু উজার করে দিয়েছেন। সুশান্তের বাবার আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন রিয়া পরিষ্কার মিথ্যা বলছে। ২০১৯ সালের মে মাসে সুশান্ত পাটনা এসেছিল। এবং সেখান থেকে মামার বাড়ি গিয়েছিল বাবার সঙ্গে, মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণে।

মঙ্গলবার সুশান্তের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে পরিবারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে যে টুইটার অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে, সেই ইউনাইটেড অফ সুশান্তের দেওয়ালে পোস্ট করা হয় ১৩ সেকেন্ড দীর্ঘ একটি ভিডিয়ো। যেখানে এক রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে নিজের বাবার সম্পর্কে কথা বলেছিলেন সুশান্ত। 

সোনচিড়িয়ার প্রমোশনে এক ডান্স রিয়ালিটি শোয়ে হাজির হয়েছিলেন সুশান্ত। এবং সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি জীবনে আমার মায়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছে, তবে অনেক কিছু যে শেখা যায় তা আমাকে আমার বাবা শিখিয়েছেন’।  এই ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়, কীভাবে ফাঁদে ফেলে, মাদকাসক্ত করে, কাউকে ধ্বংস করে, কোনও উচ্চ মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষকে মেরে ফেলতে হয় এবং তারপরেও শাস্তি হবে না ?  যাঁরা বিচার চাইছে তাঁদের অপমানিত করা হচ্ছে, মিথ্যা বলা হচ্ছে একের পর এক, তথ্য বিকৃত করা হচ্ছএ এবং আইন মেনে চলে যাঁরা তাদের জন্য থাকা আইনি ব্যবস্থার ফায়দা তোলা হচ্ছে! তাঁদের মনে রাখা উচিত এটা অপরাধীদের জন্য তৈরি বিচার ব্যবস্থা নয়'।

অন্যদিকে সুশান্তের পারিবারিক বন্ধু নীলোত্পল মৃণাল এদিন টুইট করে সুশান্তের সঙ্গে তাঁর বাবার বেশ কিছু ফ্রেমবন্দি মুহূর্ত শেয়ার করে, জানান আজ কেকে সিংয়ের জন্মদিন। ৭৪ পেরিয়ে ৭৫ এ পা দিলেন কেকে সিং, তবে এই প্রথম শুভেচ্ছা বার্তা এল না একমাত্র ছেলের কাছ থেকে! তাই বছর পূর্তির আনন্দ নয়, একরাশ হতাশা নিয়েই কাটছে এই জন্মদিন।