এবার সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন প্রয়াত অভিনেতার ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার তথা ফ্ল্যাট মেইট সিদ্ধার্থ পিঠানি। যিনি শুরু থেকেই এই মামলায় রয়েছেন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। বান্দ্রা পুলিশ থানায় ই-মেল মারফত সিদ্ধার্থ অভিযোগ জানিয়েছেন রিয়ার বিরুদ্ধে বিহার পুলিশের কাছে বয়ান দিতে তাঁর উপর চাপ দিচ্ছে সুশান্তের পরিবার। এই মামলায় মূলত সুশান্তের জামাইবাবু হরিয়ানা পুলিশের এডিজি ওপি সিং'কে অভিযুক্ত করেন সিদ্ধার্থ পিঠানি।
মুম্বই মিররে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিদ্ধার্থ পিঠানির লেখা ওই ই-মেলটি নিজের পিটিশনে প্রমাণ হিসাবে যুক্ত করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। ই-মেলে সিদ্ধার্থ লেখেন, গত ২২ জুলাই সুশান্তের পরিবারের তরফে একটি ফোন পান তিনি। সেই কনফারেন্স কলে সুশান্তের দিদি মিতু সিং এবং জামাইবাবু সিনিয়র আইপিএস অফিসার ওপি সিং এবং সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। তাঁরা সকলে রিয়ার বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ার কথা বলেছেন। কীভাবে বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে থাকবার সময় রিয়া প্রভাবিত করেছিলেন সুশান্তকে সে কথা জানানোর কথা বলে সুশান্তের পরিবার।
সিদ্ধার্থের লেখা ই-মেলে আরও বলা হয় ওপি সিং তাঁকে বলেন বিহারে পুলিশের কাছে রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ফোন আসবে। ‘আমি একটি অজানা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ফোন পেয়েছিলাম কিন্তু সেটা ৪০ সেকেন্ড পরেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং কোনও স্টেটমেন্ট রেকর্ড হয়নি’।
উল্লেখ্য সুশান্তের ওই বান্দ্রার ফ্ল্যাটে একই সঙ্গে থাকতেন সিদ্ধার্থ,রিয়া ও সুশান্ত। সুশান্তের মৃত্যুর দিনও ওই ফ্ল্যাটেই নিজের সিদ্ধার্থ পিঠানি,এমনকি সুশান্তের দিদি মিতু সিংকে ১৪ জুন দুপুরে ফোন করে ডাকেন সিদ্ধার্থ। এর আগে একাধিকবার মুম্বই পুলিশের জেরার মুূখে পড়েছেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই গোপনীয় ই-মেল কীভাবে ফাঁস হয়ে গেল মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে? কীভাবেই বা রিয়া চক্রবর্তী এই ই-মেলটি হাতে পেলেন? সিদ্ধার্থ পিঠানির এই ই-মেল ফের একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে মুম্বই পুলিশকে।