মুম্বইয়ের ব্যালাড এসটেডে এনসিবির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে রিয়া চক্রবর্তীর। আজ এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েসহ পাঁচ আধিকারিকদের ম্যারাথন জেরার মুখে সুশান্ত মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্ত। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কতি মাদককাণ্ডের পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করলেন, যেখানে নাম না নিয়েই প্রয়াত অভিনেতার দিদি বললেন, ‘অপরাধীর উচিত নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ার’।
শ্বেতা লেখেন, ‘প্রার্থনা করি ভগবানের কাছে সকলকে সদবুদ্ধি দিন। আশা করি দোষীরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয় যাতে তাঁদের আত্মার বোঝা একটু হলেও কমে’। যদিও এই পোস্টে রিয়া বা অপর কোনও অভিযুক্তের নাম নেননি শ্বেতা। সুশান্তের অনুরাগীরাও শ্বেতাকে আশ্বাস দেয় গোটা বিশ্ব প্রার্থনা করছে সুশান্তের ন্যায় বিচারের জন্য।
রবিবার সাত সকালে রিয়ার বাড়িতে হাজির হয়ে সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার মূল অভিযুক্তর হাতে সমন ধরায় এনসিবি। এরপর বেলা সোয়া এগারোটা নাগাদ এনসিবির দফতরের উদ্দেশ্যে নিজের গাড়িতেই রওনা দেন রিয়া চক্রবর্তী। মুম্বই পুলিশের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই বেলা ১২টার কিছু পরে রিয়া হাজির হন ব্যালাড এসটেটে এনসিবির দফতরের সামনে।
এনসিবির তরফে জানানো হয়েছে সুশান্ত মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্তকে নিজেদের তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেরা করতে চায় তাঁরা। সুশান্ত মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রয়াত অভিনেতার মৃত্যু মামলার দুই অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার হন রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী এবং সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে। যে ১৪ জুনের দিন হাজির ছিল সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্টে।
কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে শৌভিক, মিরান্ডা, দীপেশ সকলের সঙ্গে রিয়াকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় তাঁরা। এই মামলায় অভিযুক্তদের ইলেকট্রনিক ডাটা এভিডেন্স খতিয়ে দেখছে এনসিবি। যেখানে উঠে এসেছে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার এবং তা পাচারের কাজেও যুক্ত ছিল অভিযুক্তরা।