সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে মাদকচক্রের হদিশ পায় ইডি। এরপর এই মামলার তদন্তে নামে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বলিউডের সঙ্গে মাদকচক্রের যোগসাজশের অভিযোগ বহুদিনের। তাই এই মামলার সূত্র ধরে বলিউডের বড়সড় ড্রাগচক্রের রহস্যভেদ করতে উঠেপড়ে গেলেছে এনসিবি। গতকাল এনসিবির তরফে এই মামলার দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয় ডিআরআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টরকে। সাফ হয়ে যায় কতটা গুরুত্বের সঙ্গে এই মামলার তদন্ত করছে এনসিবি।
মঙ্গলবার এই মামলার তদন্তে বড়সড় সাফল্য এল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে। রিপাবলিক মিডিয়া সূত্রে খবর দু জন মাদক পাচারকারীকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে এনসিবি। রিয়া চক্রবর্তীর মাদক যোগের সূত্র ধরে এনসিবির নজরে রয়েছে চারজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব, যার মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের দুজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, একজন নামী অভিনেতা ও একজন পরিচালক। এই খবর প্রকাশ্যে আসবার কয়েকঘন্টার মধ্যেই এনসিবির জালে দুই মাদকচক্রীর ধরা পরবার কথা জানা গেল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ব্যক্তিদের নাম জানবার চেষ্টা করছেন এনসিবির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, চিঙ্কু পাঠান নামের একজন মাদক ব্যবসায়ী নাকি মুম্বইয়ের ফিল্ম সেটেও ড্রাগ বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও ইম্মা নামের আরও এক মাদক ব্যবসায়ীর নাম সামনে এসেছে। বান্দ্রা এলাকাটি নাকি তাঁর জিম্মায় রয়েছে।
সোমবার ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টালিজেন্সের যৌথ ডিরেক্টরের সমীর ওয়াংখেড়েকে আগামী ৬ মাসের জন্য এই মামলার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রিপাবলিকের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে এনসিবির ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা নিজে সম্প্রতি মুম্বইয়ে এসেছিলেন এই মামলার হালহাকিকত খতিয়ে দেখতে। এবং গোটা বিষয়টির তদন্ত কোনপথে, কীভা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তার দিশা নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন তিনি নিজে।
মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত ১৮ জনের নাম মুম্বই পুলিশকে ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছে এনসিবি। আগামী ৪৮-৭২ ঘন্টার মধ্যে তালিকায় থাকা ১৮ জনকে এনসিবির সামনে হাজির করবার নির্দেশ দেওয়ার হয়েছে মুম্বই পুলিশকে।