সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর আজ চারমাস মূর্তি। এদিনই বড়সড় মোড় এই মামলার তদন্তে। সুশান্ত মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কারণ সুশান্তের পরিবারের তরফে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত রিয়ার বিরুদ্ধে তেমন কোনও বড় প্রমাণ হাতে আসেনি ইডির। কিন্তু এই মামলার তদন্তে বুধবার সুশান্তের রাবতা পরিচালক দীনেশ বিজনের বাড়ি ও অফিসে জোড়া তল্লাশি চালাল ইডি। ২০১৭ সালে দীনেশের পরিচালনায় রাবতা ছবিতে কাজ করেছিলেন সুশান্ত, যেখানে তাঁর লিডিং লেডি ছিলেন কৃতী শ্যানন।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে রাবতা ছবির জন্য সুশান্তকে তাঁর পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন দীনেশ, যিনি শুধু পরিচালক নন, রাবতা ছবির যৌথ প্রযোজকও বটে। সুশান্ত মামলায় আগেই দুবার ইডির প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দীনেশ। সুশান্তের সাইনিং অ্যামাউন্ট সংক্রান্ত একাধিক তথ্যের নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল এই বলিউড পরিচালক-প্রযোজককে। সুশান্ত ও দীনেশের রাবতা সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন রয়েছে ইডির নজরদারিতে।
দীনেশ বিজন ছাড়াও ইডি এই মামলায় সুশান্তের বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদী, কর্নারস্টোন ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কর্ণধার উদয় সিং গৌরীতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই কোম্পানিতেই কর্মরত ছিলেন দিশা সালিয়ানও। মৃত্যুর আগের দিন, ১৩ জুন দুপুর ২ টোর পর উদয় সিং গৌরীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কনফারেন্স কলে কথা হয়েছিল সুশান্তের। যেখানে নিখিল আডবানি ও রমেশ তোরানির সঙ্গে আসন্ন একটি ফিল্ম প্রোজেক্ট নিয়ে আলোচনা করছিলেন সুশান্ত।
যদিও কেন দীনেশ বিজনের বাড়ি ও অফিসে রেইড চালানো হল সেই বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে না-রাড ইডি। উল্লেখ্য বহুচর্চিত প্রোজেক্ট রাবতা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, ৪৫ কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি রাবতার কালেকশন ছিল মাত্র ৩৯ কোটি টাকা।