সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে আজ দ্বিতীয়বার জেরা করছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রিয়ার পাশাপাশি এদিন ইডির জেরা মুখে রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, বাবা ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তী এবং ম্যানেজার শ্রুতি মোদীও। এদিন সকাল ১১ নাগাদ ইডির অফিসে হাজিরা দেন রিয়া ও তাঁর পরিবার। অন্যদিকে দুপুর আড়াইটে নাগাদ ইডি মুম্বইয়ের বালার্ড এস্টেট এলাকাস্থিত দফতরে হাজির হলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের ফ্ল্যাট মেইট তথা ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি। শুক্রবারই ইডির তরফে সমন পাঠানো হয়েছিল সিদ্ধার্থ পিঠানিকে।
সুশান্তের মৃত্যুর পর হায়দরাবাদে ফিরে গিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ, কীভাবে মুম্বই পুলিশ সিদ্ধার্থ পিঠানিকে শহর ছাড়ার অনুমতি দিয়েছিল সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। অবশেষে ইডির সমনের জেরে সোমবার ফের মুম্বইয়ে পৌঁছালেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতেত রয়েছেন পিঠানিও। ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর সময় বান্দ্রার কার্টার রোডের ফ্ল্যাটেই উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধার্থ। তাঁর বয়ান অনুযায়ী তিনিই প্রথম সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ দেখেন। এবং সেটি নামিয়েও ছিলেন তিনি নিজে।
যদিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সিদ্ধার্থ পিঠানির বয়ানে নানারকম অসঙ্গতি প্রকাশ্যে এসেছে। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (PMLA) আওতায় আগেই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে রিয়া, শৌভিক এবং অভিনেত্রীর বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদী ও চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট রীতেশ শাহের।
এদিন রিয়া চক্রবর্তীর দ্বিতীয়বার জেরা হলেও, ভাই শৌভিক চক্রবর্তী এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হচ্ছেন। শনিবার ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয় শৌভিক চক্রবর্তীকে। এদিন টানা ১৮ ঘন্টা ধরে তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শৌভিককে। শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ইডির দফতরে হাজির হয়েছিলেন শৌভিক,সারারাত ধরে জেরা চলে তাঁর। রবিবার সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে যান শৌভিক।