মুম্বই : অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মুত্যু মামলায় উঠে এল নয়া তথ্য। মৃত্যুর পাঁচদিন আগে সুশান্ত তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থ গুপ্ত এবং কুশল জাভেরিকে মেসেজ করেছিলেন। মেসেজ করে সুশান্ত জানিয়েছিলেন, তিনি আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। তাঁরা দু'জন যেন এসে সুশান্তের সঙ্গে সে বিষয় নিয়ে দেখা করেন।
সুশান্ত সম্পর্কে সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, সুশান্ত এমন একজন মানুষ ছিলেন যে সাফল্য ও ব্যর্থতার মধ্যে বিপরীতমুখে চলতেন। তিনি সবসময় নতুন কিছু করার, নতুন কিছু সৃষ্টির সন্ধান করতেন। সুশান্তের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। তাঁর মতে, সুশান্তের প্রভাবে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছিল। শিখেছিলেন ঝুঁকি নিতে।
পিঙ্কভিলায় একটি সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, সুশান্তের সঙ্গে পরিচিতি থাকায় তিনি নিজেকে যথেষ্ট ভাগ্যবান মনে করেন। তিনি মনে করেন, সুশান্তের চিন্তাভাবনা অমর থাকবে। অনেক মানুষই তাঁকে বুঝতে পারেনি যে তিনি কী করতে চান বা কী বলছেন। সুশান্ত মানুষকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা প্রশ্নাতীত।
এরপর তিনি জানান, সুশান্ত কোনও কিছুতেই আটকে থাকতেন না। তিনি সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করতেন। সিদ্ধার্থ আরও জানান, মৃত্যুর পাঁচদিন আগে অভিনেতা তাঁকে এবং তাঁদের বন্ধু কুশল জাভেরিকে মেসেজ করেছিলেন। সুশান্ত জানিয়েছিলেন, তিনি আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁদের দু'জনকে দেখা করার কথা বলেছিলেন তিনি।
সিদ্ধার্থ গুপ্ত বলেন, ‘আমার মনে আছে, মেসেজ আসার পরই আমি কুশলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি ওকে (কুশলকে) বলেছিলাম যে কিছু একটা অন্যরকম মনে হচ্ছে। কারণ ও (সুশান্ত) কখনও এরকম মনে হয় না। কুশল এরপর ওকে (সুশান্ত) মেসেজ করে দেখা করার কথা বলে। যে কাজটা আমরা করছিলাম তা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আমার ওর (সুশান্ত) পরিসরে হস্তক্ষেপ করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। আমার কিছুটা একটা মনে হচ্ছিল। ওই মেসেজের জন্য আমি ওর (সুশান্ত) সঙ্গে শীঘ্রই দেখা করতে পারব। কী হয়েছে, তা আমি জানতে পারব। আমি কিছু একটা অনুভব করছিলাম। কিন্তু ওর নম্বর আমার কাছে ছিল না। সম্প্রতি তা পেয়েছে কুশল। সেই সময় ও কোথায় থাকছিল, তা আমরা জানতাম না। আমরা কখনওই ভাবতে পারিনি যে কিছু উলটো-পালটা হতে পারে।
গত ১৪ জুন নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুশান্তের দেহ। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়।