সুশান্ত মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে এনসিবির হাতে গ্রেফতার রিয়া,শৌভিক সহ ছয় জনের জামিনের আবেদন খারিজ করল সেশন কোর্ট। গতকাল বিশেষ এডিপিএস আদালতে শুনানি হয়েছিল রিয়া সহ বাকি ছয়জনের জামিনের আর্জির। রায় সংরক্ষিত রেখেছিল আদালত। আজ দুপুর বারোটার সময় সেশন কোর্ট জানিয়ে দিল রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী, আবদুল বাসিত, জায়েদ ভিলাট্রা, দীপেশ সাওয়ান্ত ও স্যামুয়েল মিরান্ডার জামিনের আর্জি খারিজ। কী কারণে খারিজ হয়েছে এই আবেদন সেই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি আদালত। এই রায়ের জেরে আপতত বাইকুল্লা জেলেই থাকতে হচ্ছে রিয়াকে।
সেশন কোর্টে জামিনের আর্জি খারজি হওয়ায় বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রিয়া, শৌভিকের আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে। উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বাকি চার অভিযুক্তের আইনজীবীও। মানেসিন্ধে জানান, 'রায়ের কপি হাতে পেলে আমরা আগামী সপ্তাহে বম্বে হাইকোর্টের সামনে জামিনের আবেদন জানাব'।
এনডিপিএস আইনের আওতায় ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ (এ), ২৮, এবং ২৯ নম্বর ধারায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে। জামিনের আবদনে সতীশ মানেসিন্ধে জানান তাঁর মক্কেল ‘নির্দোষ’ এবংং ২৮ বছরের এই অভিনেত্রীকে ‘এই মামলায় মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে’। তিনি যোগ করেন ‘উনি কোনওরকম অপরাধ করেননি’।
জামিনের আবেদনে রিয়া বলেছেন, অপরাধমূলক স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য তাঁকে জোর করা হয়েছিল এনসিবির তরফে এবং ৮ সেপ্টেম্বর দাখিল করা নিজের জামিনের আবেদনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধরনের সমস্ত অপরাধমূলক স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নেন আবেদনকারী রিয়া।
কিন্তু আদালতে রিয়াসহ গ্রেফতার বাকি পাঁচ জনের জামিনের বিরোধীতা করে এনসিবি। বলা হয়, এঁরা প্রভাবশালী, তাঁরা বাইরে এলে তদন্ত ব্যাহত হবে।
রিয়ার বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ২৭ (এ) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এই ধারায় দোষ প্রমাণ কমপক্ষে ১০ বছর, এবং সর্বাধিক ২০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে রিয়ার উপর এই এনডিপিএস আইনের এই ধারা যোগ করবার বিরোধিতা করেন। তিনি সওয়াল করেন এই মামলায় খুব অল্প পরিমাণ মাদক জড়িত রয়েছে। যদিও মানেসিন্ধের এই দলিল কাজে আসেনি। এনসিবির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রিয়া চক্রবর্তীকে মাদক সেবনের জন্য গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি নিজের জবানবন্দিতে সুশান্তের জন্য মাদক সংগ্রহ করবার কথা মেনে নিয়েছেন। তাই তাঁর জন্য ২৭ (এ) ধারা প্রযোজ্য। সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই তাঁকে জামিন দেওয়া হতে পারে না।
আদালতের তরফে রিয়ার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর করা হয়েছে। তাই ২২ সেপ্টেম্বর বাইকুল্লা জেলই হতে চলেছে রিয়া চক্রবর্তীর ঠিকানা।