সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে দিল্লি থেকে মুম্বই পৌঁছাল ১৫ সদস্যের সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। এই দলে রয়েছেন এসপি নূপুর প্রসাদ। এই দলে রয়েছেন সিবিআইয়ের ৬ সদস্যের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মুম্বইয়ে পৌঁছায় সিবিআইয়ের দল।
মুম্বইয়ের কলিনা এলাকায় খাঁটি গেড়েছেন সিবিআইয়ের টিম। মুম্বই পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই এক মিনিটও অপেক্ষা করল না সিবিআইয়ের দল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুম্বই ব্রাঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৬৭ তম দিনে এই মামলার তদন্তে মু্ম্বই পৌঁছাল সিবিআই। উল্লেখ্য গত ৫ অগস্ট বিহার সরকারের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রের তরফে এই মামলা তুলে দেওয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু রিয়া চক্রবর্তী বিহার পুলিশের এফআইআরের বিরোধিতা করে পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট রিয়ার পিটিশন খারিজ করে বিহার পুলিশের এফআইআরকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দেয়। এই মামলায় শীর্ষ আদালতের তরফে সুবজ সংকেত পাওয়ার পরের দিনই মুম্বই পৌঁছে গেল সিবিআইয়ের টিম।
সিবিআইয়ের মুম্বইয়ের আধিকারিকরা আগে থেকেই মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে সংগ্রহীত নথি ও তথ্য জমা রেখেছিল। আজ রাতেই সেই সব তথ্য,নথি এবং ৫৬ জনের রেকর্ড করা বয়ান খতিয়ে দেখবে সিবিআইয়ের টিম। আগামিকাল সুশান্তের কার্টার রোডের ওই অ্যাপার্টমেন্টে যাবে সিবিআইয়ের টিম ও তাঁদের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা, খবর টাইমস নাও সূত্রে। জানা গিয়েছে আগামিকাল ক্রাইম সিন পুনরায় তৈরি করবেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করবে সিবিআইয়ের টিম। মূলত সিবিআইয়ের এসপি নূপুর প্রসাদের জেরার মুখে পড়তে হবে রিয়াকে। রিয়া কী গ্রেফতার হবেন? এয়ারপোর্টে সাংবাদিদের এই প্রশ্ন নিয়ে কোনও জবাব দিলেন না নূপুর প্রসাদ।
শুধু তাই সিবিআইয়ের মুম্বই ব্রাঞ্চের অফিসাররা সুশান্তের মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা বিশেষ তদন্তকারী দলের নির্দেশে আগেই ছয় জনের বয়ান রেকর্ড করেছে। এবং সেটি পরিবারের সদস্যরা নন বলেই টাইমস নাও সূত্রে খবর। সিবিআইয়ের মুম্বই ব্রাঞ্চের আধিকারিক সুভেজ হককে বিশেষ তদন্তকারী দল তাঁদের নোডাল অফিসার হিসাবে বেছে নিয়েছে। অর্থাত্ মুম্বই পুলিশের সঙ্গে তদন্তের বিষয়ে যাবতীয় যোগাযোগ করলেন সুভেজ। সিবিআইয়ের এই ডিআইজি মহারাষ্ট্র আইপিএস ব্যাচ (২০০৫) এর অফিসার।
অপর কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সঙ্গেও ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে সিবিআই। তাঁদের সংগ্রহীত তথ্য এবং নথিও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। এর আগে রিয়া চক্রবর্তীকে দু'বার জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গিয়েছে সুশান্ত মামলার তদন্তে প্রশ্নের মুখে থাকা মুম্বই পুলিশের দুই ডিসিপি'কেও প্রশ্ন করতে পারেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।