সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জাহির করেছে তাঁর অগুণতি ভক্তরা। সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে শুরু থেকেই সরব সুশান্তের ভক্তরা। সুশান্তের পরিবার এই মৃত্যু নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করবার আগেও সুশান্তের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মেনে নেওয়ার মুম্বই পুলিশের তত্ত্বকে কোনওভাবেই মেনে নিতে চায়নি সুশান্ত সিং রাজপুতের ফ্যানেরা। এই মৃত্যুর তদন্ত আপতত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ায় ‘সত্যের জয়’ হবে লড়াই এখনও অনেকটা বাকি রয়েছে।
শুক্রবার পরিকল্পনামাফিক দ্বিতীয় ডিজিটাল বিরোধ জানালেন সুশান্ত ভক্তরা। দিল্লিস্থিত আইনজীবী ইশকরণ সিং ভান্ডারির নেতৃত্বে এইদিনের এই ডিজিটাল বিরোধের হ্যাশট্যাগ #Warriors4SSR, এই প্রতিবাদে অংশ নিলেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তিও।
একদিকে যখন ডিজিটাল বিরোধে শামিল গোটা দেশ, তখনই মুম্বইয়ে ইডির দফতরে ম্যারাথন জেরা চলছে রিয়া চক্রবর্তীর। গত ৯ ঘন্টা ধরে ইডি কর্তাদের প্রশ্নের মুখে রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক, ম্যানেজার শ্রুতি মোদী এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টান্ট রাকেশ শাহ।
এদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে শুরু মাত্র টুইটারেই ১৩ লক্ষাধিক টুইট হয়েছে এই হ্যাশট্যাগে।
সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে বিহার পুলিশের কাছ থেকে তাঁদের তদন্ত রিপোর্ট জমা নিয়েছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের তরফে পাটনা পুলিশের কাছে দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতেই সিবিআই বৃহস্পতিবার এই এফআইআর দায়ের করেছে। যেখানে মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখিত রয়েছে রিয়া চক্রবর্তী,তাঁর বাবা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তী, মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী, ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, অ্যসোটিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং ম্যানেজার শ্রুতি মোদীর নাম। সিবিআইয়ের যে বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে এই হাই প্রোফাইল মামলার কিনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা এই মুহূর্তে তদন্ত করছে অগস্টাওয়েস্টল্যান্ড চপার কাণ্ড ও বিজয় মালিয়ার জালিয়াতির কাণ্ডের। এই তদন্তকারী দল অ্যান্টি-কোরাপশন-৬ নামেও পরিচিত। যাঁর নেতৃত্বে রয়েছে গুজরাত ক্যারেডের আইপিএস অফিসার মনোজ শশীধর, রয়েছেন আইপিএস অফিসার গগণদীপ গম্ভীর (ব্যাচ ২০০৪) এবং এসপি নূপুর প্রসাদ।