সুশান্তের মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তী ফের অভিযোগের আঙুল তুললেন সুশান্তের পরিবারের দিকে। বম্বে হাইকোর্টে দাখিল জামিনের আর্জিতে রিয়া জানিয়েছেন- সুশান্ত তাঁর দিদিদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ করত। সুশান্তের চিন্তিত ছিল যে দিদিরা ওঁর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত নয়, বরং সুশান্তের টাকা লুট করবার চেষ্টাতেই রয়েছে তাঁরা।
আপতত বাইকুল্লা জেলে বন্দী রিয়া। সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য ড্রাগ সংগ্রহ ও নিষিদ্ধ মাদকের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গত ৮ সেপ্টেম্বর এনসিবির হাতে গ্রেফতার হন রিয়া চক্রবর্তী। আজ বম্বে হাইকোর্টে রিয়া ও শৌভিকের জামিনের শুনানি হবে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে- রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে জামিনের আবেদনে জানিয়েছেন, ‘সুশান্ত বারবার চেষ্টা করেছিল নিজের মানসিক সমস্যার কথা পরিবারকে জানাতে হবে তাঁরা এই নিয়ে চিন্তিত ছিল না একেবারেই। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুশান্তের তিন দিদি মুম্বইয়ে এসেছিল এবং জানায় চিকিত্সার জন্য সুশান্তকে চণ্ডীগড়ে নিয়ে যাবে। আবেদনকারী (রিয়া) এই নিয়ে কোনও আপত্তি জানায়নি। তবে ২৬ নভেম্বর সুশান্ত ফোন করে আবেদনকারীকে জানায় সে দিদিদের সঙ্গে চণ্ডীগড় যাবে না এবং দিদিদের উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর সন্দেহ হচ্ছে। তাঁর মনে হচ্ছে দিদিরা কেবলামত্র ওর টাকা আত্মসাত্ করতে চায়। সেইদিন রাতে ওর দিদিরা ফিরে যায় সুশান্তকে ওই অবস্থায় (অবসাদগ্রস্থ) ফেলে রেখে’।
যদিও জানুয়ারি মাসে চণ্ডীগড় যান সুশান্ত, এবং দিদিদের সঙ্গে সময় কাটান, ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন রিয়া। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মুম্বই ফেরত চলে আসেন প্রয়াত তারকা। সেখানে দিদিদের সঙ্গে কি সমস্যা হয়েছিল তা জানা নেই রিয়ার। এবং কোনওভাবেই রিয়া তাঁর বয়ফ্রেন্ডের উপর কোনও চাপ দেননি, মুম্বই ফেরার।
অন্যদিকে সুশান্তের মার্কিন মুলুকনিবাসী দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি রিয়ার সেই দাবি খারিজ করে সোস্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছিলেন তিনি দু-দিনের জন্য ভাইয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে সব কাজ ফেলে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে চণ্ডীগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তবে এসে দেখেন সুশান্ত আগেই ফিরে গেছেন কারণ দু-দিন অন্তত ২৫ বার ফোন এসেছিল রিয়ার।
শুধু সুশান্তের পরিবার নয়, জামিনের আবেদনে সুশান্তের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রিয়া চক্রবর্তী। তিনি আরও বলেন- ‘সুশান্ত আমাকে, আমার ভাইকে ব্যবহার করেছে, ওঁর অনান্য হাউজ স্টাফেদের সঙ্গে ওর নিজের ড্রাগের অভ্যাসকে চালিয়ে যাওয়ার জন্য। এবং খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কোনওরকম ইলেকট্রনিক এভিডেন্স রাখেনি নিজের এই চক্রে জড়িত থাকার। এটা খুব দুর্ভাগ্যের বিষয় যে সুশান্ত সিং রাজপুত নিজের আশেপাশের মানুষদের ফায়দা তুলেছে।