সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই নানাভাবে বিতর্কে জড়িয়েছে সারা আলি খানের নাম। কখনও সুশান্ত-সারা প্রেম সম্পর্কের কাহিনি প্রকাশ্যে এসেছে তো কখনও মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়েছে সইফ-অমৃতা কন্যার। এমনকি সুশান্ত মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে সারা আলি খানকে।
সুশান্তের মৃত্যু মামলা আত্মহত্যা নাকি খুন-সেই নিয়ে এখনও কিছুই স্পষ্ট করেনি সিবিআই। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে কোনও সম্ভবনাই উড়িয়ে দেওয়া হয়নি।সুশান্ত মামলার অভিযুক্তের তালিকায় না থাকলেও এই মামলার অন্যতম সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছেন ১৪ জুন সুশান্তের কার্টার রোডের ফ্ল্যাটে উপস্থিত প্রয়াত অভিনেতার কর্মচারীরা, যার মধ্যে মাদক মামলায় ইতিমধ্যেই জেলবন্দি পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত। সুশান্তের দুই রাঁধুনি নীরজ ও কেশব এবং ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানিকে বারবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। এবার জানা যাচ্ছে সুশান্তের রাঁধুনি এখন কাজ করছেন অভিনেত্রী সারা আলি খানের বাড়িতে। এমনই খবর রিপাবলিক মিডিয়া সূত্রে।
রিপাবলিক টিভির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে সারার বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী এই খবর নিশ্চিত করেছে।গোটা ঘটনাই উঠে এসেছে চ্যানেলের একটি স্ট্রিং অপারেশনে। যদিও সিকিউরিটি গার্ড যখন টেলিফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেন সারার বাড়ির ভিতরে উপস্থিত কেশবের সঙ্গে তখন গোটা ঘটনা বুঝতে পেরে সুশান্ত মামলা নিয়ে মুখ খুলতে অস্বীকার করে সে। উল্লেখ্য ১৪ জুন শেষবার কেশব আর নীরজই জীবিত অবস্থায় দেখেছিল সুশান্তকে। সকাল ১০ নাগাদ সুশান্তকে জুসের গ্লাসও দিয়েছিল কেশব।
অন্যদিকে সূত্রের খবর এনসিবির জেরায় সারা নাকি সুশান্তের সঙ্গে নিজের প্রেম সম্পর্কের খবর মেনে নেন। জানান, ২০১৯-র জানুয়ারিতে এই সম্পর্ক ভেঙে যায়। উল্লেখ্য নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সুশান্তের সঙ্গে প্রাইভেট জেটে থাইল্যান্ড উড়ে গিয়েছিলেন সারা। সেই প্রমাণ আগেই সামনে এসেছে। সারার দাবি ছিল সুশান্ত এই সম্পর্ক নিয়ে বিশ্বস্ত ছিল না। যদিও সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্যামুয়েল হোকিপ দাবি করেছেন- সোনচিড়িয়া ফ্লপ হওয়ার পর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল দু-জনের সম্পর্কে। হয়ত মুভি মাফিয়াদের চাপেই সারা দূরে সরে গিয়েছিলেন, দাবি ছিল স্যামুয়েলের।
গত শনিবারই মাদককাণ্ডে এনসিবি জেরা করে সারাকে। প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে চলে সওয়াল-জবাব পর্ব। সারার মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সুশান্তের সঙ্গে সিগারেট খেতেন তিনি, একথা মেনে নিয়েছেন সারা। ড্রাগ কখনও নাকি ছুঁয়েও দেখেননি সইফ কন্যা, তবে সুশান্ত ড্রাগ নিত- এই কথা এনসিবিকে জেরায় জানিয়েছেন সারা আলি খান।