সুশান্তের বডিগার্ডের পর এবার রিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অভিনেতার প্রাক্তন রাঁধুনি আশোক। বিহার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সুশান্তের এই প্রাক্তন কুককে। শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখ খোলে সুশান্তের দীর্ঘদিনের এই সঙ্গী। ২০১৬ সাল থেকে সুশান্তের রাঁধুনি হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন অশোক। ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সুশান্তের রাঁধুনি হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। ডিপ্রেশনগ্রস্ত হওযা তো দূর অস্ত, কোনওদিন সুশান্তকে ওষুধ খেতেও দেখেনি অশোক। ২৪ ঘন্টা সুশান্তের বাড়িতে থাকতেন তিনি। এমনকি সুশান্তের শ্যুটিংয়ের সময়ও পাশে থাকতেন।
এদিন টাইসম নাও'কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে অশোক জানান, গত বছর সেপ্টেম্বরে তিনি নিজের দেশের বাড়ি নেপালে গিয়েছিলেন। ১৪ই অক্টোবর তিনি মুম্বইয়ে ফেরেন। এবং কাজে ফিরলে তাঁকে ফোনে জানানো হয় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাল্টা প্রশ্ন করলে জানা যায় এটি রিয়া ম্যাডামের নির্দেশ। সুশান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে জানান অশোক।
অশোক আরও জানান ২০১৯-এর জানুয়ারিতে নিজের পরিচিত কেশবকে সুশান্তের বাড়িতে রাঁধুনি হিসাবে কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে কাজ করতে তাঁরা। তাঁকে কাজ থেকে বার করে দেওয়ার পর কেশব বাড়ির রান্নাঘরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিল। ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর সময় বান্দ্রার ওই অ্যাপার্টমেন্টে হাজির ছিল কেশবও।
অশোকের কথায়, ‘আমার সামনে কোনওদিন স্যারকে ডাক্তারের কাছে যেতে বা কোনও ওষুধ খেতে দেখিনি। সারাদিন নিজের ফিটনেস ট্রেনারের সঙ্গেই ব্যস্ত থাকতেন। ভীষণরকম স্বাস্থ্য সচেতন ছিল’। অশোক যোগ করেন, আমি শুনেছি গত বছর ইউরোপ ট্রিপে যাওয়ার পরে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডেঙ্গু হয়েছিল শুনেছিলাম।
রিয়া কী তবে সুশান্তের স্টাফদের ছাঁটাই করছিলেন? জবাবে আশোক বলেন, হ্যাঁ, প্রথমে আমাকে বার করা হয়। এরপর সাহিল নামে সুশান্তের এক বডিগার্ডকে ছাঁটাই করা হয় এবং সুশান্তের অ্যাকাউন্টাট রজতকেও বার করা হয়'। রিয়ার পরিবারেরও নিয়মিত যাতায়াত ছিল সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে? অশোক বলেন, শৌভিক,রিয়ার ভাই নিয়মিত আসত তবে বাবা-মা আসত না এখানে তেমন। কিন্তু লোনাভালার ফার্ম হাউজে রিয়ার বাবা-মা'ও যেত। সেখানে প্রায়ই সকলে গিয়ে দু-তিন থাকত।
উল্লেখ্য নভেম্বর মাস থেকেই নাকি ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সুশান্ত। সেই সময় থেকেই নাকি তাঁর চিকিত্সা শুরু হয় বলে দাবি করেছেন সুশান্তের ফ্ল্যাট মেইট সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং রিয়া চক্রবর্তী। তবে এই ডিপ্রেশন থিয়োরি মানতে না-রাজ সুশান্তের পরিবার।