সুশান্তের মামলার মৃত্য তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে মুম্বই পুলিশ। ঘটনার প্রায় দু মাস পরেও এই মামলায় এফআইআর দায়ের করেনি মুম্বই পুলিশ। এরই মাঝে বিহার সরকারের সুপারিশ মেনে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে বিহার সরকার। গত বৃহস্পতিবারই এই মামলায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে বিহার পুলিশের জুরিসডিকশন নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রিয়া। সেই মামলার রায়দান আপতত ঝুলে রয়েছে। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির দিন নির্দিষ্ট রয়েছে শীর্ষ আদালতে। যেই পিটিশনে এই মামলায় মুম্বই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
গত ২৫ শে জুলাই বিহার পুলিশের কাছে ছেলের মৃত্যু নিয়ে এফআইআর দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। যেখানে রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর তরফে। তবে এই মামলার তদন্ত বিহার পুলিশের আইনগত এক্তিয়ার বহির্ভূত এই অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। গতকাল, মঙ্গলবার সেই মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি হয়। সেখানে সব পক্ষের সওয়াল-জবার শোনার পর সিবিআই তদন্ত নিয়ে কোনওরকম রায়দান করেননি বিচারপতি, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব পক্ষকে নিজেদের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অজয় আগারওয়ালের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হওয়ার কথা জাস্টিট এস এ বোবদে, এ এস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের সম্মিলিত বেঞ্চে। তবে এর আগে গত ৩০শে জুলাই এবং ৭ই অগস্ট একই ধরণের দুটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রয়াতের বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। এমন কোনওকারণ নেই তিনি সেটি সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন না। আপনি এক্ষেত্রে অচেনা মানুষ,তাই অকারণে এই বিষয়ে আপনি ঢুকছেন'।
এই মামলায় একটি সমন্বিত সিবিআই তদন্তের দাবি করবার পাশাপাশি অজয় আগারওয়াল নিজের পিটিশনে জানিয়েছেন,'যেভাবে মুম্বই পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে তাতে গোটা দেশের কাছে বড়সড় ধাক্কা। তাঁদের তদন্তে বড়সড় গলদ রয়েছে, এটা ইচ্ছাকৃত গলদ কিনা সেটাও তদন্ত সাপেক্ষ'।